ষাটের দশকের অন্যতম সেরা অ্যাথলেট ও জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদ হামিদা বেগম আর নেই।
দীর্ঘ অসুস্থতার পর শনিবার সকালে রাজধানীতে নিজ বাসভবনে মৃত্যু হয় দেশের ক্রীড়াঙ্গনের পরিচিত এ মুখের।
হামিদার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তিনি দুই মেয়ে, স্বজন ও ক্রীড়াঙ্গনের অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
ষাটের দশকে পূর্ব বাংলা অ্যাথলেটিকসে বেশ সুনাম কুড়ান হামিদা বেগম; জিতেছিলেন রৌপ্য পদক। সে সময় ৫০, ১০০ ও ২০০ মিটার মিটে বেশ দাপট দেখিয়েছিলেন তিনি।
স্বাধীনতার পর ট্র্যাক ছেড়ে প্রশাসনে ঢুকে পড়েন হামিদ। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সহকারী ক্রীড়া পরিচালক হিসেবে যোগ দেন। বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।
খেলাধুলায় অনন্য অবদান রাখায় ২০০৯ সালে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পান হামিদা বেগম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হলের ছাত্রী ছিলেন এ ক্রীড়া প্রশাসক। তার সহপাঠী ছিলেন সুলতানা কামাল। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে অ্যাথলেটে নাম কুড়িয়েছিলেন এই দুই ক্রীড়াবিদ।
শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী স্টেডিয়ামে আসরের নামাজের পর হামিদার জানাজা হবে। পরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তার দাফন হবে।
এ অ্যাথলেটের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) ও বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশন।