জাতীয় দলের দায়িত্বভার ২০১৯ সালে বুঝে পাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ব্যর্থতা অধিকাংশ সময়ে সঙ্গী হয়েছে জাতীয় দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর। দায়িত্ব বুঝে নেয়ার পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জাতীয় দলের পারফরম্যান্স ছিল একেবারে বাজে।
ঘরের মাঠে ভালো করতে সক্ষম হলেও ডমিঙ্গোর অধীনে বাংলাদেশ ধুঁকেছে দেশের বাইরের স্পোর্টিং উইকেটে। দলের ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সের উন্নয়নে প্রোটিয়া এই কোচের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বারবার।
তারপরও বোর্ড তার সঙ্গে চুক্তি বাড়িয়েছে বিশ্বকাপ চলার সময়ে। বোর্ডের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি মোর্ত্তজা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন কোচ হিসেবে ডমিঙ্গো খুব একটা মন কাড়তে পারেনি তার। সাফল্যের চেয়ে কোচের ব্যর্থতার পাল্লা ভারী বলে মন্তব্য করেছেন ম্যাশ।
শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এমনটাই জানান দেশসেরা এই অধিনায়ক।
মাশরাফি বলেন, ‘দল যখন সফল হবে তখন অবশ্যই সেটা তার কৃতিত্ব। আমি খুব বেশি ম্যাচ ওর সঙ্গে খেলিনি। ওকে নিয়ে কথা বলার সুযোগ আমার কম। তবে যত ম্যাচ আমরা হেরেছি, সে দায়ভার তাকে নিতে হবে। আমরা অনেক ম্যাচ হেরেছি, যেগুলো আমাদের হারার কথা নয়। নিউজিল্যান্ডে যেটা জিতেছি, সেটা সাফল্য। ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয় তার ব্যর্থতার পাল্লাটা ভারী।’
জাতীয় দলের দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে বুঝে নেয়ার পর থেকে এখনও দল নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট চালিয়ে যাচ্ছেন ডমিঙ্গো। ব্যাটিং পজিশন থেকে শুরু করে ক্রিকেটারদের ফরম্যাট নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ সিরিজে পরীক্ষা চালাতে দেখা যায় তাকে।
এ বিষয়টি বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য উপযুক্ত নয়, সেটি কোচ হিসেবে ডমিঙ্গো এখনও বুঝতে পারেননি বলে মন্তব্য করেন মাশরাফি।
তিনি যোগ করেন, ‘বাংলাদেশ দল এখন আর সে জায়গায় নেই, যেটা দিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করা যায়। বাংলাদেশের যারা দর্শক আছে, তারা ফল চায়। সাংবাদিকরাও ফল চায় ও ক্রিকেট বোর্ডও চায়। বাংলাদেশ দলের এখন পারফর্ম করার সময়। ওয়ানডে ক্রিকেটে গত ৬-৭ বছর বাংলাদেশ পারফর্ম করে আসছে।’
ব্যর্থতার পাল্লা ভারী হলেও সাউথ আফ্রিকা সিরিজে ভালো কিছু করবে ডমিঙ্গো এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন সাবেক এই অধিনায়ক।
মাশরাফি বলেন, ‘সাউথ আফ্রিকা সিরিজে ওর কালচার, ওর পরিবেশ। সেখানকার উইকেটও ডমিঙ্গো ভালো চেনে। সে হিসেবে আশা করছি যে ও একটা বড় ভূমিকা রাখবে। সেটা করতে পারলে খুবই ভালো হবে।’
ডমিঙ্গোকে নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে গুঞ্জন ছিল যে খেলোয়াড়দের সঙ্গে তার সম্পর্ক ভালো না। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে গুঞ্জনের সত্যতা জানালেন ম্যাশ নিজে।
তিনি বলেন, ‘প্লেয়ারদের অনেক অভিযোগ আছে তাকে নিয়ে। যে বিষয়টির প্রাধান্য থাকা উচিত তা হলো ড্রেসিংরুমটা ভালো আছি কি না। সেটা থাকলে খুব ভালো। আমার কাছে তা মনে হয়নি। তাই আমি খোলামেলা বলেছি। ডমিঙ্গোর হার-জিতের অনুপাতও বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য অতো ভালো নয়। এখন বিসিবি যদি তাকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে, তাহলে এটা ওদের বিষয়।’