অনেক নাটকের পর অবশেষে সাউথ আফ্রিকার বিমানে চেপেছেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যোগ দিতে রোববার রাতে দেশ ছেড়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। যাওয়ার আগে জানিয়েছেন অন্তত এক ম্যাচ জিতে দেশে ফিরতে চান তিনি।
টাইগারদের বিপক্ষে প্রোটিয়াদের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হচ্ছে ১৮ মার্চ। এরপর দুই দল খেলবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে।
সাকিব বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘সিরিজ জিততে পারলে বেশ ভালো হবে। একটা ম্যাচও যদি জিততে পারি তাহলে আমি মনে করি খুব ভালো একটা অ্যাচিভমেন্ট হবে। আমার ধারণা পুরো দলের একই ধরনের লক্ষ্য থাকবে। সেভাবে আমরা প্রস্তুতি নেব।’
শুরুতে এই সিরিজে খেলতে চাননি সাকিব। শেষ পর্যন্ত বিসিবি সভাপতির হস্তক্ষেপের পর রাজি হন। তবে সে কারণে দলের সঙ্গে কোনো ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ নেই দাবি তার। পুরো সিরিজটা দলের সঙ্গে উপভোগ করতে চান সাকিব।
তিনি বলেন, ‘অনেকটাই স্বস্তি। দলের সঙ্গে থাকাটা তো সবসময় ভালো একটা ব্যাপার। মজার ব্যাপার। গত ১৫ বছর ধরে আছি। সামনে থাকতে পারলে আরও ভালো লাগবে। আশা করি সবাই মিলে একটা ভালো ফল আনতে পারব।’
‘অনেক সময় জায়গা পরিবর্তন হলে মানসিকতায় পরিবর্তন আসে। আমি নিশ্চিত যে সবসময় টিম ম্যানেজমেন্ট, কোচিং স্টাফ ও খেলোয়াড়রা সবসময় আমাকে সমর্থন দিয়েছেন। এবারও তারা সমর্থন করবেন। চেষ্টা করব তার প্রতিদান দিতে।’
প্রোটিয়া কন্ডিশনে রাবাডা-এনগিডির সামলানোর পাশাপাশি ডি কক, মালানদের আউট করাটাই বল হাতে মূল চ্যালেঞ্জ মনে করেন সাকিব। বিদেশের মাটিতে ভালো করতে বোলিংয়ে উন্নতি করতেই হবে অভিমত তার।
তিনি বলেন, ‘ওই কন্ডিশনে বোলিংটা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে। আমাদের বোলিং ডিপার্টমেন্টকে অনেক ভালো করতে হবে। অ্যাওয়ে সিরিজগুলাতে আমাদের সবচেয়ে খারাপ হয় বোলিং। এ জায়াগাটাতে উন্নতির অনেক জায়গা আছে বলে আমি মনে করি।’