আলোচনা-সমালোচনার মাঝে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সাউথ আফ্রিকা সফরে যেতে ‘রাজি’ হয়েছেন দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। শুক্রবার বিসিবি সভাপতির সঙ্গে আলোচনার পর শনিবার সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই নিশ্চিত করেছেন তিনি।
ক্রিকেট থেকে বিরতির জন্য বোর্ডের কাছে ছুটি চেয়ে তা পেয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু সেই ছুটি না কাটিয়ে হুট করেই সাউথ আফ্রিকা সিরিজের জন্য রাজি হয়ে যান বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। যেই ছুটির জন্য এতো আলোচনা-সমালোচনার জন্ম, সেই ছুটিই কাটানো হচ্ছে না তার।
তবে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে রাজি হলেও সব ম্যাচে একাদশে নাও থাকতে পারেন সাকিব। এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সেই মোতাবেক সাকিব সাউথ আফ্রিকা গিয়েও ছুটি কাটাতে পারবেন এমন একটা সম্ভাবনা জন্ম নিয়েছে।
শনিবার শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবি বস।
পাপন বলেন, ‘সাউথ আফ্রিকা সফরে সব ম্যাচেই অ্যাভেইলেবল সাকিব। আগামীকাল রাতে সে যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। তবে এখানেও কথা আছে। এমনও হতে পারে সেখানে কোনো ম্যাচে ওকে দলের বাইরেও রাখা হতে পারে। এটা নিয়ে হুলুস্থূল করার কিছু নেই।’
দলের বাকি সদস্যরা তিন ধাপে বিভক্ত হয়ে ইতোমধ্যে উড়াল দিয়েছেন সাউথ আফ্রিকার উদ্দেশে। সবকিছু ঠিক থাকলে রবিবার রাতে দেশ ছাড়বেন সাকিব। চতুর্থ ধাপে রওয়ানা দিয়ে জোহানেসবার্গে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি।
১৮ মার্চ মাঠে গড়াবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। এরপর ২০ ও ২৩ মার্চ বাকি দুটি ওয়ানডে।
প্রথম ও তৃতীয় ওয়ানডে হবে সেঞ্চুরিয়নের সুপার স্পোর্টস পার্কে। এ দুটি ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায়।
৩১ মার্চ ডারবানের হলিউডবেটস কিংসমেডে বাংলাদেশ সময় বেলা ২টায় শুরু হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। আর ৮ এপ্রিল পোর্ট এলিজাবেথের সেইন্ট জর্জ পার্ক ক্রিকেট গ্রাউন্ডে গড়াবে সিরিজের শেষ টেস্ট।
এখন পর্যন্ত সাউথ আফ্রিকার মাটিতে তাদের বিপক্ষে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ১৯টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। তবে একটিতেও জয়ের দেখা পায়নি লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।