বিপিএলের গত আসরে তামিমের ব্যাট হাসলেও তা মিলিয়ে যায় আফগানিস্তান সিরিজে। মাত্র শেষ হওয়া আফগানিস্তান সিরিজে তার রান ছিল মোট ৩১।
ব্যাট হাতে তাকে থাকতে হয়েছে রীতিমতো অস্বস্তিতে। আফগান পেইসার ফজলহক ফারুকির সামনে তিন ম্যাচে অসহায় আত্মসমর্পণ করে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল বাঁহাতি এই ওপেনারকে।
দরজায় কড়া নাড়ছে সাউথ আফ্রিকা সিরিজ। সে সিরিজের আগ মুহূর্তে তামিমের এমন রূপ স্বভাবত দলের জন্য চিন্তার কারণ।
তবে নিজের ফর্ম নিয়ে মোটে চিন্তিত নন তামিম। গত সিরিজে রান না পেলেও সাউথ আফ্রিকা সিরিজে স্বরূপে ফিরবেন বলে আশাবাদী দেশসেরা এই ওপেনার। একই সঙ্গে নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে বেশ গর্বিত বাঁহাতি এই ব্যাটার। তার মতে, যখন সময় হবে, তখন তার ব্যাট থেকে ঠিকই রান আসবে। এই নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তামিম বলেন, ‘আমি আমার নিজের পারফরম্যান্সে গর্ব খুঁজে পাই। নিজের ব্যাটিং নিয়ে গর্বিত। যখন আমি রান করি না, তখন আমি খারাপ অনুভব করি। মানুষ কী বলছে না বলছে সেটা নিয়ে আলোচনা হবেই। ব্যক্তিগতভাবে আমি অনেকটা সময় হতাশ হই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এতটুকু বলতে পারি, আমি প্রক্রিয়াগুলো অনুসরণ করব, নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করব। যখন রান আসবে, তখন আসবে। যখন আসবে না, তখন আমার উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কারণ আমি জানি, যখন আমার সময় আসবে তখন আমি বড় স্কোরই করব।’
তামিমের মতে, কয়েকটি ম্যাচ খারাপ খেললেই একজন ক্রিকেটারের ফর্ম চলে যায় না। এসব না ভেবে নিজের প্রতি ফোকাস করছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তামিম বলেন, ‘এতদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার কারণে এটাও শিখতে পেরেছি যে এক সিরিজ, দুই সিরিজ বা তিন সিরিজ আপনি ভালো খেলবেন না। আবার আপনি টানা তিনটা সিরিজ ভালো খেলছেন। আমার ক্যারিয়ার না, বাংলাদেশে যাদের বড় ক্যারিয়ার আছে বা অল ওভার দ্য ওয়ার্ল্ড এভরিওয়ান, দুইটা সিরিজ ভালো নাও হতে পারে আবার এক টানা এক বছর ভালো খেলছে।’
‘এই ক্রিকেট, জীবন, এর সঙ্গেই আপনার মানিয়ে নিতে হবে। আমি সব সময় একটা কথা বলি, কেউ যদি তিন, চার, পাঁচ ইনিংসে রান না করে তার ফর্ম চলে যায় না। আবার কেউ যদি ১০ ইনিংসের পর এক ইনিংসে ভালো খেলে সে ফর্মে এসে যায় না। এটার জন্য সময় দিতে হয়’, তিনি যোগ করেন।
১৮ মার্চ থেকে মাঠে গড়াতে যাচ্ছে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজটি। ১৮, ২০ ও ২৩ মার্চ মাঠে গড়াবে সিরিজের তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ। আর ৩১ মার্চ থেকে শুরু হবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজটি।
সিরিজটি খেলতে ১২ মার্চ দেশ ছাড়বেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।