পিঠের ইনজুরির কারণে লম্বা সময় ধরে মাঠে বাইরে জাতীয় দলের পেইস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। গেল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাওয়া পিঠের চোট লম্বা সময়ের জন্য তাকে মাঠ থেকে ছিটকে ফেলেছে। বিশ্বকাপের পর আর ২২ গজে দেখা যায়নি এ অলরাউন্ডারকে।
সম্প্রতি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাইফউদ্দিন অভিযোগ করেছিলেন, ইনজুরিতে পড়ার পর জাতীয় দলের কোচিং স্টাফ থেকে শুরু করে কেউই তার খোঁজ রাখেননি। আর ডানহাতি এই অলরাউন্ডারের এ অভিযোগের পরই নড়েচড়ে বসে দেশের সংবাদমাধ্যমগুলো।
কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড একেবারেই উড়িয়ে দিল সাইফউদ্দিনের এই অভিযোগ। বোর্ডের দাবি, তার এই অভিযোগ সম্পূর্ণই ভিত্তিহীন। ইনজুরির পর থেকেই বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ছিলেন সাইফউদ্দিন, এমনটাই বলছে দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটি।
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জালাল ইউনূস মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে বিয়ষটি নিয়ে কথা বলেন।
জালাল বলেন, ‘সবচেয়ে অবাক হয়েছি যে, সে নাকি বলেছে, সাড়ে পাঁচ মাস টিম ম্যানেজমেন্টের কেউ বা কোচিং স্টাফের কেউ তার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। এটা খুব সারপ্রাইসড ছিল আমাদের কাছে। এটা আমরা বোর্ডের পরিচালক যারা আছেন তারা দেখেছেন, বোর্ড সভাপতি পাপন সাহেব তিনিও দেখেছেন, আমরা সারপ্রাইজড যে, সে কীভাবে এই কথাটা বলছে। কেন না সাড়ে পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে সে একটা রিহ্যাব প্রোগ্রামের ভেতর ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘বায়েজিদ, যে আমাদের ফিজও, কোচিং প্যানেলের সঙ্গে যুক্ত, তার সঙ্গে সারাক্ষণ তার (সাইফউদ্দিনের) যোগাযোগ ছিল এবং তাকে একটা রিহ্যাব প্রোগ্রাম দেয়া হয়েছে। ছয় মাস তার একটা প্রোগ্রাম ছিল। সেই সময়টাতে সব সময় তার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। এর ভেতর অক্টোবর নভেম্বরে তার একটা স্ক্যানও করানো হয়েছিল। সে সময় তাকে বলা হয়েছিল, তুমি অনুশীলন কোথায় করতে চাও।’
একইসঙ্গে ভুল তথ্য দেয়ার জন্য সাইফউদ্দিনকে শাস্তির আওতায় আসতে হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন বোর্ডের এই পরিচালক।
জালাল বলেন, ‘আমরা তাকে ডেকেছিলাম, এ কথা সে কীভাবে বললো? সে বলেছে যে তার ভুল হয়েছে, তাকে আমরা জিজ্ঞেস করেছি। এখন আমরা সিদ্ধান্ত নেব তার বিরুদ্ধে কি স্টেপ নেয়া যায়।’
সম্প্রতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ দিয়ে ক্রিকেটে ফিরতে যাওয়া সাইফউদ্দিন শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলনের পর সংবাদমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেছিলেন, ‘গত সাড়ে ৫ মাস মাঠের বাইরে ছিলাম। জাতীয় দলের কোচিং ম্যানেজমেন্টের কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। আমি নিজ থেকে আসলে কী বলব? যদি দল মনে করে আমার প্রয়োজন, তখন আমি জাতীয় দল নিয়ে কথা বলব। এখন আবাহনীতে আছি, মনযোগ এখানেই।’