মানসিক ধকল ও ক্লান্তির কারণে সাউথ আফ্রিকা সফরে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। রোববার রাতে দুবাই যাওয়ার আগে সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। বিসিবিকে নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন সাকিব। তবে সেটির জবাব এখনও পাননি তিনি।
বিসিবি যে তার সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নয়, সেটা বোঝা গেল আজ। সোমবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সাউথ আফ্রিকা যাওয়ার বিষয়ে বোর্ডকে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন সাকিব, এমনটা বলেন তিনি। ফলে রোববার দেয়া সাকিবের বক্তব্য কিছুটা চমকের মতো বিসিবির কাছে।
পাপন যোগ করেন, ‘আমরা মোটেও বিচলিত নই। ও হয়তো মানসিক, শারীরিকভাবে কিছুটা পরিশ্রান্ত। যদি সমস্যা হয় আমাদের জানাতে পারে। বিমানবন্দরে বলে দেওয়ার আগে ও তো দিনের বেলায় আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারত! কোচের সঙ্গে কথা বলতে পারত। সুজনের সঙ্গে কথা বলতে পারত। হঠাৎ করে এভাবে চমক দেওয়া, কেন করছে! অনেকে এটা পছন্দ করেনি।’
জাতীয় দলের হয়ে এখন বয়সের কারণে বেছে বেছে সিরিজ খেলবেন বলে জানিয়েছিলেন সাকিব। ৩৫ ছুঁইছুঁই এ তারকার এমন দাবিতে একমত নয় বোর্ড।
পাপন বলেন, ‘আমি চাই সবাই খেলুক। যারা সিনিয়র তারা সবাই খেলুক। খেলার সিদ্ধান্ত তাদের। কেউ না খেললে জোর করছি না। কিন্তু আগে জানিয়ে দাও যাতে প্ল্যান করতে পারি। ওখানেই সবাই অভিযোগ করছে।
‘আপনি ফরম্যাট ঠিক করবেন। এই টেস্ট খেলবেন, এটা খেলবেন না— এটা করতে পারেন না। আমাদের দেশের বেশির ভাগ এটাই চায়।’
জাতীয় দলের হয়ে গত বছর ও এ বছর নিউজিল্যান্ড সফরেও যাননি সাকিব। জাতীয় দলের হয়ে না খেলা অনীহার সমালোচনা করেন পাপন।
বলেন, ‘এটা একটা মূল ইস্যু। কিছুতেই মানতে পারছি না! পৃথিবীর কোনো খেলোয়াড় নেই যার স্বপ্ন জাতীয় দলে না খেলা।’
আগামী দু-এক দিনের মধ্যে সাকিবকে সাউথ আফ্রিকা সিরিজ থেকে ছুটি দেয়া হবে কি না সে সিদ্ধান্ত জানাবে বিসিবি। তবে সাকিবকে দল থেকে বাদ দিতে চায় না বোর্ড।
পাপন বলেন, ‘সাকিব যদি কোনো সিরিজে না যায়, কেউ কিছু বলবে না। কিন্তু দল থেকে যদি বাদ দিই, তখন তো বোর্ডকে দুষবে।’