এ মাসেই তার বয়স কাগজে-কলমে ৩৫ হয়ে যাবে। যেকোনো ক্রীড়াবিদের জন্য সংখ্যাটা বিদায়বেলার ইঙ্গিত বহন করে। সাকিব আল হাসানও ব্যতিক্রম নন। ৩৫ ছুঁইছুঁই এ তারকার মতে টেস্ট ক্রিকেটের ধকল নেয়ার মতো বয়স তার এখন আর নেই।
ঢাকা থেকে দুবাই যাওয়ার সময় রোববার রাতে সাংবাদিকদের সাকিব এমনটাই জানান। সামনে রয়েছে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে বিশ্বকাপ। সেদিকে মনোযোগ দিতে চান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
সাকিব বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেট একদমই ছেড়ে দিতে চাচ্ছিলাম। যেহেতু টেস্ট দলে একটা ভারসাম্য তৈরি হয়েছে, আমার মনে হয় ক্যারিয়ারের এই সময়ে যদি শুধু সাদা বলে খেলা চালিয়ে যাই তাহলে বয়স, শারীরিক সক্ষমতা, ফিটনেস বুঝে আমি আরও ভালো করতে পারব।’
২০০৭ সালে টেস্ট অভিষেকের পর থেকে গত ১৫ বছর ৫৯টি টেস্ট খেলেছেন সাকিব। এখন ব্যস্ত সূচি ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের চাপে পাঁচ দিনের ক্রিকেটের চাপ নেয়া সম্ভব হচ্ছে না তার পক্ষে, জানান তিনি। বিসিবি যদি আগাম সূচি অনুযায়ী তাকে পরিকল্পনা নির্দিষ্ট করতে সাহায্য করে, তাহলে সেটা দুই পক্ষের জন্যই ভালো হবে অভিমত তার।
সাকিব বলেন, ‘সমস্যা হলো আমি এখনও জানি না সামনে কী আছে। সিরিজ বাই সিরিজ প্ল্যান করা আমার জন্য কঠিন। যদি সারা বছরের পরিকল্পনা জানতে পারি, তবে আমি আমার নিজের মতো করে গুছিয়ে নিতে পারব। নিজস্ব প্ল্যান, ফ্যামিলি প্ল্যান বা ক্রিকেট ক্যারিয়ার, সব দিক থেকে ভালো হতো।’
এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিরতি চান সাকিব। সাউথ আফ্রিকা সিরিজ থেকে মৌখিক ছুটি চেয়েছেন তিনি। বিসিবি আগামী দুয়েক দিনের মধ্যে জানিয়ে দেবে সাকিব প্রোটিয়া সফরে থাকছেন কি না।