আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয় তুলে নিলেও শেষ ম্যাচে বড় পরাজয় মেনে নিতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ৮ উইকেটের বড় হারে ১-১ সমতায় সিরিজ শেষ করেছে স্বাগতিক দল।বাংলাদেশের দেয়া ১১৬ রানের সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুই উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় আফগানিস্তান।
বাংলাদেশের দেয়া ১১৬ রানের সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব একটা ভালো করতে পারেনি আফগানিস্তান। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজের উইকেট তুলে নেন মাহেদী হাসান।
তবে বাংলাদেশ সে ছন্দ ধরে রাখতে পারেনি।
দলীয় ৪ রানে প্রথম উইকেট হারানো আফগানিস্তান খেই হারায়নি একদম। হজরতউল্লাহ জাজাই ও উসমান গানি মিলে দলকে নিয়ে যেতে থাকেন জয়ের দিকে।
ব্যক্তিগত ৪৭ রানে উসমান মাহমুদুল্লাহর শিকার হয়ে মাঠ ছাড়লেও দারুণ এক ফিফটি তুলে নেন জাজাই। বাকি পথটা পার হতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি দারউইশ রাসুলি ও জাজাইয়ের। ১৪ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় আফগানিস্তান।
এর আগে শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার। তার ব্যাট থেকে আসে ৪।এক ওভার বাদে ওমরজাইয়ের শিকার বনে মাঠ ছাড়েন লিটন দাস। ১৩ রান করে আউট হন ইনফর্ম এ ব্যাটার।
রানের গতি বাড়াতে গিয়ে রানআউটের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন ১৩ রান করা নাঈম শেখ।
এরপর সাকিব আল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন মুশফিকুর রহিম। সাকিবও বেশিক্ষণ টেকেননি। ৯ রান করে আউট হন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ তার সঙ্গ ছাড়লেও নিজের শততম ম্যাচে উইকেট কামড়ে ধরে রানের চাকা সচল রাখেন তিনি।
কিন্তু ব্যক্তিগত ৩০ রানে ফজল হক ফারুকির বলে মোহাম্মদ নাবির হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে মাঠ ছাড়েন মুশফিক। আর এতে বাংলাদেশের বড় সংগ্রহের আশা শেষ হয়ে যায়।
নিয়মিত উইকেট পতনের মধ্য দিয়ে ৯ উইকেটের খরচায় ১১৫ রান তোলে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ রান আসে মুশফিকের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ রান করেন রিয়াদ।
আফগানিস্তানের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন ফজলহক ফারুকি ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই। একটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ নাবি ও রাশিদ খান।
ম্যাচসেরা হয়েছেন ওমরজাই আর সিরিজ সেরা হন ফারুকি।