চলতি বছরের অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়াতে বসতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম আসর। সে মোতাবেক গেল বিশ্বকাপের ব্যর্থতা আসন্ন আসরের মাধ্যমে ঘুচাতে বাংলাদেশের হাতে সময় রয়েছে মাত্র ৬ মাস।
এই ছয় মাসে বাংলাদেশ আফগানিস্তান বাদেও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে লড়বে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।
এরইমধ্যে বছরের শুরুটা শর্টার ফরম্যাটের ক্রিকেটে বেশ ভালোভাবেই শুরু করেছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৬১ রানের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে টাইগাররা।
ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সফলতা পেলেও বিশ্বকাপের মঞ্চে ভরাডুবি হয় বাংলাদেশের। কেননা স্লো আর লো পিচে সিরিজ খেলার পর বিশ্বকাপের স্পোর্টিং উইকেটে খেলতে গিয়ে বেশ বেগ পেতে হয় জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের।
তবে ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজটি দিয়েই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে বলে মনে করছেন জাতীয় দলের স্পিন বোলিং পরামর্শক রঙ্গনা হেরাথ।
একই সঙ্গে হেরাথ মনে করেন আরও প্রস্তুতি নেয়ার বাকি রয়েছে টাইগারদের। আর সেটির জন্য বোর্ড কাজ করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই লঙ্কান কোচ।
হেরাথ বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আমাদের কিছু খেলা বাকি আছে। পাশাপাশি আমাদের অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের জন্য আরও বেশি প্রস্তুতি নেয়া খুবই জরুরি। আমি নিশ্চিত বিসিবি সেটি নিয়ে কাজ করছে।’
ক্রিকেটের শর্টার ফরম্যাটে চলতি বছরের শুরুটা জয় দিয়ে করায় বাকি সিরিজগুলোতে সেই ধারা ধরে রাখতে আশাবাদী এই কোচ। আফগানিস্তান ছাড়াও বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের করে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে।
এর ভেতর দুইটিই ঘরের বাহিরে। একটি সিরিজ বাংলাদেশ খেলবে ঘরের মাঠে। সেটিও বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে। আর সেটিই হয়ে দাঁড়াচ্ছে ভয়ের কারণ।
গেল বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের মতো দলকে নাস্তানাবুদ করার পর বিশ্বকাপের মঞ্চে নিজেরাই নাস্তানাবুদ হয়েছে বাংলাদেশ। কেবলমাত্র বাছাইপর্বের দুটি ম্যাচ ছাড়া কোনো ম্যাচেই জয়ের দেখা পায়নি লাল সবুজ জার্সিধারীরা। আর এই বিষয়টিই এখন ভাবনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।