জাতীয় দলে ওপেনারের ভূমিকায় লিটন দাসকে দেখে সবাই অভ্যস্ত। এই লিটনই আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নেমেছেন তিন নম্বরে। ব্যাটিং বিপর্যয়ের সময় শক্ত হাতে হাল ধরে দলকে এনে দিয়েছেন চ্যালেঞ্জিং স্কোর।
দলের বাকিরা যখন মাঠ ছেড়ে সাজঘরে আসা-যাওয়ায় ব্যস্ত, সে সময় দৃঢ় হাতে দলকে টেনে তোলার মিশনে নামেন লিটন। একবার দুর্দান্ত এক ফিফটি তুলে নিয়ে নিজের ধারাবাহিকতার কথা জানান দেন বাঁ হাতি এই ব্যাটার।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ক্যারিয়ারের সেরা সময় কাটানো এই ব্যাটারের পারফরম্যান্স দেখানোর যাত্রাটা শুরু হয় গত জিম্বাবুয়ে সফর থেকে। জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১০২ রান করেন তিনি।
এরপর পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আসে টেস্ট সেঞ্চুরি। টেস্ট শেষে ওয়ানডেতে ঘরের মাঠে আফগানদের বিপক্ষে পৌঁছান তিন অঙ্কে।
সে ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেন টি-টোয়েন্টিতেও। প্রথম ম্যাচে যখন সাকিব-রিয়াদের বিদায়ে ধুঁকছে বাংলাদেশ তখন আরেকবার ফিফটি করে দলকে সামাল দেন লিটন।
যদিও ফিফটি করে বেশিদূর যাওয়া সম্ভব হয়নি। ৪৪ বলে ৬০ রান করেই থামতে হয়েছে তাকে।
বারবার ব্যাট হাতে ব্যর্থতার পরিচয় দেয়া লিটন হুট করে কিভাবে বদলে গেলেন? উত্তরে লিটন জানালেন, চিন্তাধারা পাল্টানোর কারণে বদলে গেছেন তিনি।
লিটন বলেন, ‘চিন্তাধারা বদল করলে টি টোয়েন্টিতে রান করা খুব কঠিন নয়। ২০ ওভারের খেলা। ধৈর্য ধরে খেললে অনেক সময় পাওয়া যায়।
‘এটা আস্তে আস্তে বোঝা শুরু করেছি, আগে হয়তো ওভাবে বুঝতাম না। মানুষের অভ্যাসই তাই। যত খেলবেন ততই শিখবেন। আমার মনে হয় এ জায়গায় আমি বুঝতে পারছি। ভবিষ্যতে দলকে আরও সহায়তা করার চেষ্টা করব।’
লিটনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের কারণে সফরকারিদের সামনে ১৫৫ রানের পুঁজি দাঁড় করাতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। নিজের ফিরে আসার বার্তা দেয়ার সঙ্গে যেন তিনি জানিয়ে দিলেন কতটা পরিণত হয়েছেন।