দলের বাকিরা যখন মাঠ ছেড়ে সাজঘরে আসা যাওয়ায় ব্যস্ত, সে সময় দৃঢ় হাতে দলকে টেনে তোলার মিশনে নামেন লিটন দাস। আরও একবার দুর্দান্ত এক ফিফটি তুলে নিয়ে নিজের ধারাবাহিকতার কথা জানান দেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ক্যারিয়ারের সেরা সময় কাটাচ্ছেন এ ব্যাটার। যার শুরু গত জিম্বাবুয়ে সফর থেকে। জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১০২ রান করেন তিনি।
এরপর পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আসে টেস্ট সেঞ্চুরি। টেস্ট শেষে ওয়ানডেতে ঘরের মাঠে আফগানদের বিপক্ষে পৌঁছান তিন অঙ্কে।
সে ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেন টি-টোয়েন্টিতেও। প্রথম ম্যাচে যখন সাকিব-রিয়াদের বিদায়ে ধুঁকছে বাংলাদেশ তখন আরেকবার দারুণ ফিফটি করে দলকে সামাল দেন লিটন দাস।
দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। সেই বিদায় আরও বাড়িয়ে দিয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সাজঘরে ফেরা। এর ফলে ৮০ রানেই বাংলাদেশ হারিয়েছে তাদের চতুর্থ উইকেট।
টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ইনিংসের শুরুতেই স্বাগতিকদের বড় ধাক্কা দেন ফজল হক ফারুকি। আফগানিস্তানের এ পেইসার শুরুতে ফিরিয়েছেন টাইগার ওপেনার নাঈম শেখকে।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারের ফারুকির প্রথম বলে এলবিডব্লিউ হন নাঈম। প্রথমে আম্পায়ার আউট না দিলেও ডিআরএস ব্যবহার করে আউট দেন।
২ রান করে আউট হন নাঈম। আর বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন ১০।
এর দুই ওভার পর আউট হন অভিষিক্ত মুনিম শাহরিয়ার। রাশিদ খানের বলে স্লগ করতে গিয়ে আউট হন তিনি। ১৮ বলে ১৭ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
এরপর সাকিব-লিটন জুটি গড়ে দলকে বিপদ থেকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। তবে সাকিবের বিদায়ে সে চেষ্টা সফল হয়নি।
সে সময় শক্ত হাতে দলের হাল ধরে রাখেন তিনে নামা লিটন। ৩৪ বলে তুলে নেন দুর্দান্ত এক ফিফটি। দুর্দান্ত সেই ইনিংসে ছিল তিনটি চার ও দুটি ছয়ের মার।
৪৪ বলে ৬০ রান করে আউট হন তিনি। ১৭ ওভার শেষে স্বাগতিক দলের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ১২৬।