সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে আফগানিস্তানের সামনে ১৯৩ রানের লক্ষ্য রেখেছে বাংলাদেশ। ৪৬.৫ ওভারে সবগুলো উইকেট হারিয়ে টাইগারদের সংগ্রহ ১৯২ রান।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে দেখে-শুনে খেলতে থাকেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। কোনো উইকেট না হারিয়ে পাওয়ার প্লেতে এই দুই ব্যাটার স্কোর বোর্ডে যোগ করেন ৪৩ রান।
একাদশতম ওভারের প্রথম বলে ফজলহক ফারুকি সরাসরি আঘাত হানেন তামিমের স্টাম্পে।
এরপর লিটন ও সাকিব আল হাসান মিলে দলকে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন। চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবে লিটন চার হাজারি ক্লাবে নিজের নাম লিখিয়ে নেন। সেই সঙ্গে তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ অর্ধশতক।
হাফ সেঞ্চুরি করে সেঞ্চুরির দিকে ব্যাট চালানো শুরু করেন লিটন। তাকে দুর্দান্ত সঙ্গ দিচ্ছিলেন সাকিব। ব্যক্তিগত ৩০ রান করে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে স্টাম্প হারান তিনি। আর তাতে ভাঙে সাকিব-লিটনের ৬১ রানের জুটি।
তখন বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০৪। এরপরই আফগান বোলারদের তোপের মুখে পড়ে টাইগাররা।
অল্পতে ফিরে যান মুশফিকুর রহিম। রাশিদ খানের বলে রহমানুল্লাহ গুরবাজের তালুবন্দি হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় রাব্বিকে। রাশিদ খানের দ্বিতীয় শিকার বনে এক রান করে মাঠ ছাড়েন তিনি।
উইকেটের একপ্রান্ত আগলে ধরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন লিটন। তবে ৮৬ রানে তাকে প্যাভিলিয়নে ফেরান মোহাম্মদ নাবি।
আফিফ হোসেনও বেশিক্ষন টেকেননি। ৫ রান করে মোহাম্মদ নাবির বলে ফেরেন এ হার্ডহিটার।
এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ কিছুটা সময় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলেও খুব একটা কাজে আসেনি সেই প্রতিরোধ। ১০৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানো দলটি স্কোরবোর্ডে ৮৮ রান যোগ করতে হারায় তাদের বাকি ৮টি উইকেট।১৯২ রানে থেমে যায় স্বাগতিকদের ইনিংসের চাকা।
আফগানদের হয়ে তিনটি উইকেট নেন রাশিদ খান। দুটি নেন মোহাম্মদ নাবি আর একটি করে উইকেট যায় ফজল হক ফারুকি ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ঝুলিতে।