বিপিএলের অষ্টম আসরের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে জয়ের জন্য ফরচুন বরিশালের প্রয়োজন ১৫২ রান। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের সংগ্রহ ১৫১ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ফরচুন বরিশাল ১৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান তুলেছে। জয়ের দরকার ৩৬ বলে ৩৭ রান। ক্রিজে আছেন দলনায়ক সাকিব আল হাসান ও নুরুল হাসান সোহান।
শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বরিশালের বোলারদের ওপর চড়াও হন সুনিল নারাইন। বরিশালের বোলারদের করে ২১ বলেই তুলে নেন চলতি বিপিএলের ব্যক্তিগত দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি।
ওপেনিংয়ে নারাইনের সঙ্গী লিটন এই ম্যাচেও থিতু হতে পারেননি উইকেটে। সাকিব আল হাসানের প্রথম ওভারেই বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
দলীয় ৬৯ রানে নারাইন ২৩ বলে ৫৭ করে মাঠ ছাড়লেই বদলে যায় কুমিল্লার ব্যাটিং লাইনআপের দৃশ্যপট। বরিশালের বোলারদের বোলিং তোপে মড়ক লাগে কুমিল্লা শিবিরে।
৮ রানে সাজঘরে ফেরেন মাহমুদুল হাসান জয়। চার রানেই ফাফ ডু প্লেসিকে আটকে দেন মুজিব উর রহমান। আর ইমরুল কায়েসকে ফিরতে হয় ১২ রান করে। ফলে ৯৫ রান তুলতেই ৬ উইকেট নেই ইমরুল বাহিনীর।
এমন অবস্থায় দলের হাল ধরেন মঈন আলি। সঙ্গে নেন আবু হায়দার রনিকে। দুজনের জুটিতে ভর করে লড়াকু সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে কুমিল্লা।
ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলেই রান আউট হয়ে ৩২ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন মঈন। বড় শট খেলতে গিয়ে ১৯ রানেই থামেন রনিও।
শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রানেই থেমে যায় কুমিল্লার ইনিংস।
বরিশালের হয়ে দুটি উইকেট নেন মুজিব ও শফিকুল ইসলাম। একটি করে উইকেট যায় সাকিব, ব্রাভো ও মেহেদি হাসান রানার ঝুলিতে।