টিভিএস বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে শেখ রাসেলকে হারিয়েছে ঢাকা আবাহনী। এ জয়ে বসুন্ধরা কিংসকে সরিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেল ধানমন্ডির জায়ান্টরা।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় শেখ রাসেলের হোম ভেন্যুতে শুক্রবার স্বাগতিকদের ৩-১ গোলে হারায় আবাহনী।
লিগে তৃতীয় জয় তুলে নিল মারিও লেমসের দল আবাহনী। অন্যদিকে প্রথম হারের স্বাদ পেল সাইফুল বারী টিটুর দল শেখ রাসেল। এর আগে প্রথম দুই ম্যাচে ড্র করে হোঁচট খায় তারা। তৃতীয় ম্যাচে এসে সাইফকে হারিয়ে প্রথম জয় পায় দলটি।
কিংস অ্যারেনার মাঠে ম্যাচ শুরুর পর সমানতালে খেলতে থাকে দুই দল। তবে প্রথমার্ধ দুই দলের কাটে গোল করতে না পারার হতাশায়।
বিরতির পর ম্যাচের ৪৯ মিনিটে ডেডলক ভাঙে আবাহনী। দানিয়েল কলিনদ্রেসের কর্নার কিক থেকে ডরিয়েল্টনের মাথা ছুঁয়ে শূন্যে ভাসতে থাকা বলটা জালে জড়ান জুয়েল। লিড নিয়ে ফেলে আবাহনী।
ওই গোলের পর আর চাঙা হয়ে ওঠে মারিও লেমসের বাহিনী। ম্যাচের ৬১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ধানমন্ডির জায়ান্টরা। এবার ডরিয়েল্টনের পাস থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে মিলাদ শেখের জোরাল শট জাল খুঁজে নিলে উল্লাসে মাতে আবাহনী।
দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফিরতে সময় নেয়নি শেখ রাসেল। আবাহনীর গোলের রেশ কাটতে না কাটতে তিন মিনিটের মাথায় গোল পরিশোধ করে ব্যবধান কমায় অল ব্লুস।
হেমন্ত ভিনসেন্তের পাস গড়িয়ে যাওয়ার সময় ওয়ান টাচে শট নেন এসমায়েল গনসালভেস। ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেয়া গিনির এই ফরোয়ার্ডের শট দারুণভাবে বাঁক খেয়ে জাল খুঁজে নেয়। দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া কিছু করার ছিল না আবাহনীর গোলকিপার শহীদুল ইসলাম সোহেলের।
এরপরও ফেরার সুযোগ ছিল শেখ রাসেলের। কিন্তু ম্যাচের ৮৪ মিনিটে নবীব নেওয়াজ জীবনের গোলে রাসেলের ফেরার স্বপ্ন অনেকটা কঠিন বানিয়ে ফেলে আবাহনী। সুশান্ত ত্রিপুরার অ্যাসিস্ট থেকে বাঁ পায়ে দৃষ্টিনন্দন গোল করেন জীবন।
শেষ পর্যন্ত কামব্যাক করা সম্ভব হয়নি শেখ রাসেলের। পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে আবাহনী। এ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠে গেল আবাহনী। ৫ পয়েন্ট নিয়ে ৭-এ শেখ রাসেল।