বিপিএলের এলিমিনেটরে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৭ রানের জয় বাগিয়ে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। চট্টগ্রামের করা ১৮৯ রানের পাহাড়সম লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৮ রানেই থেমে যায় খুলনার ইনিংস।
এই জয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে জায়গা করে নিল চট্টগ্রাম। সোমবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ও ফরচুন বরিশালের মধ্যকার ম্যাচের পরাজিত দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খেলবে চট্টগ্রাম।
শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে চট্টগ্রাম। ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৬ রানে তারা হারায় ওপেনার জাকির হাসান ও অধিনায়ক আফিফ হোসেনকে।
বিপর্যয় সামাল দিতে এগিয়ে আসেন কেনার লুইস। সঙ্গে নেন চ্যাডউইক ওয়ালটনকে। লুইসের ৩২ বলে ৩৯ রানের ইনিংসে লড়াইয়ে ফেরে চট্টগ্রাম। সঙ্গে ছিল ওয়ালটনের দায়িত্বশীল ব্যাটিং।
৩৯ করে লুইস ফেরার পর ১০ রান করে আউট হন শামিম পাটোয়ারী। এরপর শেরেবাংলায় ঝড় তোলেন ওয়ালটন।চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়ে দলকে নিয়ে যেতে থাকেন বড় সংগ্রহের দিকে। তাকে সঙ্গ দিতে থাকা মিরাজ ৩৬ রানে সাজঘরে ফিরলেও রানের চাকা সচল রাখেন ওয়ালটন।
তার অপরাজিত ৪৪ বলে ৮৯ রানের টর্নেডো ইনিংসে ভর করে খুলনার সামনে ১৯০ রানের বড় লক্ষ্য দাঁড় করায় চট্টগ্রাম।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ফিরে যান মাহেদি হাসান। কিন্তু তাতে খেই হারায়নি খুলনা। উইকেটের এক প্রান্ত আগলে রেখে ঝড় চালাতে থাকেন ওপেনার আন্ড্রে ফ্লেচার।
তাকে সঙ্গ দিতে থাকা সৌম্য সরকার ১ রানে ফিরলে মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে লড়াই অব্যাহত রাখেন এই ওপেনার। ২৯ বলে ৪৩ করে মুশফিক বিদায় নেয়ার পর ইয়াসির আলি রব্বির সঙ্গে জুটি গড়েন তিনি।
এই দুজনের জুটিতে জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু করে খুলনা। ২৪ বলে ৪৫ করা রাব্বির বিদায়ে ভাঙে সেই জুটি। জুটি ভাঙার পর ম্লান হয়ে যায় খুলনার জয়ের আশা।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য খুলনার দরকার ছিল ১৬ রান। কিন্তু ফ্লেচার ও থিসারা পেরেরার পক্ষে সেটি করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। যার ফলে চার উইকেট হারিয়ে ১৮২ রানেই থেমে যেতে হয় খুলনাকে।