আর্থিক টানাপোড়েনে ধুঁকছে বার্সেলোনা। অবস্থা এতটাই নাজুক যে স্প্যানিশ ক্লাবটির দেনা দাঁড়িয়েছে এক বিলিয়ন ইউরোর কাছাকাছি।
গত বছর পদত্যাগ করা সভাপতি হোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ ও তার ম্যানেজমেন্টকেই দায়ী করছেন বর্তমান সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা।
ঠিক কতটুকু ক্ষতি করেছেন বার্তোমেউ? সেটার নির্দিষ্ট কোনো খতিয়ান না থাকলেও একটা ধারণা দিয়েছে স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মারকা।
এক প্রতিবেদনে মারকা জানিয়েছে, নেইমার চলে যাওয়ার পর বার্সেলোনা তার বিকল্প খুঁজতে ব্যয় করেছে ৫৫ কোটি ২০ লাখ ইউরো। বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি।
২০১৭ সালে বিশ্বরেকর্ড ২২.২ কোটি ইউরোতে প্যারিস সেইন্ট জার্মেয়ে (পিএসজি) যোগ দেন নেইমার। তারপর থেকে এ ব্রাজিলিয়ান তারকার বদলি খুঁজছে বার্সেলোনা। তবে একের পর এক বড় বাজেটের খেলোয়াড় দলে টেনেও সাফল্য পায়নি কাতালান জায়ান্টরা।
নেইমার যাওয়ার মৌসুমে বার্সেলোনায় যোগ দেন উসমান ডেম্বলে, ফিলিপে কোতিনিয়ো ও জেরার্দ দেলোফেউ। এর মধ্যে ডেম্বলে (১৪ কোটি) ও কোতিনিয়োকে (১৩.৫ কোটি) কিনতেই বার্সাকে গুনতে হয়েছে ২৭.৫ কোটি ইউরো।
পরের বছর ৪.১ কোটি ইউরোতে কাম্প ন্যুয়ে আসেন আরেক ব্রাজিলিয়ান ম্যালকম।
২০১৯-২০ মৌসুমে আতলেতিকো মাদ্রিদ থেকে ১২ কোটি ইউরোতে আঁতোয়া গ্রিজমানকে দলে ভেড়ায় বার্সেলোনা। ৩.১ কোটি ইউরোতে আসেন ত্রিনকিয়াও আর এ মৌসুমে সাড়ে ৫ কোটি ইউরোতে এসেছেন ফেরান তরেস।
এদের মধ্যে ডেম্বলে ও তরেস বাদে কেউই এখন বার্সেলোনায় খেলছেন না। দেলোফেউকে এক মৌসুম পরই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ওয়াটফোর্ডের কাছে বিক্রি করে দেয় বার্সেলোনা।
কোতিনিয়ো ও গ্রিজমান ধারে খেলছেন যথাক্রমে অ্যাস্টন ভিলা ও আতলেতিকো মাদ্রিদে। আর ম্যালকম খেলছেন জেনিত সেইন্ট পিটার্সবার্গে।
ত্রিনকিয়াওকে নিয়ে গেছে উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্স।
এ ছাড়া গত ৫ মৌসুমে বার্সেলোনায় এসেছেন মিরালেম পিয়ানিচ, জঁ-ক্লের তোদিবো, আরতুরো ভিদাল, জুনিয়র ফিরপো, নেলসন সেমেদোর মতো তারকারা। যারা কেউই ক্লাবে টিকতে পারেননি।
সব মিলিয়ে ব্যর্থ ফুটবলারদের ট্র্যান্সফার ফি ও পারিশ্রমিক বোনাস মিলিয়ে বিরাট অঙ্কের ক্ষতির মুখে পড়েছে বার্সেলোনা।