পয়েন্টের হিসাবে ছিল দুই অসম দলের লড়াই। তবে ডার্বি ম্যাচ বলে কথা। ডার্বি দে কাতালুনিয়ায় আরও একবার দেখা গেল উত্তেজনায় ভরপুর এক ম্যাচ। যেখানে কোনো দলই হারেনি।
টেবিলের ১৩ নম্বরে থাকা এসপানিওলের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছে ৪-এ থাকা বার্সেলোনা। ৯ হলুদ কার্ড ও ২ লাল কার্ডের ম্যাচে বার্সেলোনা শেষ মুহূর্তের গোলে হার এড়িয়েছে। ৯৬ মিনিটে গোল করে বার্সাকে ১ পয়েন্ট উপহার দেন লুক ডি ইয়ং।
এসপানিওলের মাঠে শুরু থেকে উত্তেজনার কমতি ছিল না। কাতালুনিয়া অঞ্চলের দুই ক্লাব কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি ছিল না মাঠের লড়াইয়ে।
ম্যাচের শুরুতে স্বাগতিক দলকে হতচকিত করে দেয় বার্সা। ম্যাচের প্রথম আক্রমণ থেকেই গোল পেয়ে যায় সফরকারী দল।
জোর্দি আলবার ক্রসে গোল করে ২ মিনিটের সময় বার্সেলোনাকে লিড এনে দেন পেদ্রি।
গোল হজম করে নড়েচড়ে বসে এসপানিওল। বার্সেলোনাকে স্বস্তি দেয়নি তারা প্রথমার্ধে। বিরতির ঠিক আগে সমতা ফেরাতে সক্ষম হয় তারা।
রাউল ডে টমাসের বাড়ানো বলে বক্সের প্রান্ত থেকে দারুণ শটে গোল করেন সেরহি দারদার।
দ্বিতীয়ার্ধেও অব্যাহত ছিল দুই দলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। ৬৪ মিনিটে আবারও এসপানিওলকে এগিয়ে দেয় রাউল-দারদার কম্বিনেশন।
এবারে অ্যাসিস্ট করেন দারদার। আর ম্যাচে স্বাগতিকদের প্রথম লিড এনে দেন রাউল।
এরপরই চড়তে থাকে উত্তেজনার পারদ। একেবারে শেষ মুহূর্তে মেজাজ হারিয়ে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পেয়ে লাল কার্ড দেখেন বার্সেলোনার অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকে।
এসপানিওলের মিডফিল্ডার নিকো মেলামেন্ডের সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ে মেজাজ হারান তিনি। রেফারি মেলামেন্ড ও পিকে দুজনকেই মাঠ থেকে বের করে দেন।
ম্যাচের সময় তখন ৯২ মিনিট। মনে হচ্ছিল বার্সেলোনাকে হার মেনে নিয়েই মাঠ ছাড়তে হবে।
তবে পেদ্রির বদলি হিসেবে ৮৮ মিনিটে মাঠে নামা লুক ডি ইয়ং পালটে দেন হিসাব।
আডামা ট্রাওরের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে এসপানিওল গোলকিপারকে পরাস্ত করেন এ ডাচ স্ট্রাইকার। বার্সেলোনাকে এনে দেন ১ পয়েন্ট।
এ ড্রয়ে পয়েন্ট টেবিলের অবস্থান হারায়নি বার্সেলোনা। ২৩ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে ৪-এ অবস্থান করছে তারা।
শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের সংগ্রহ ২৪ ম্যাচে ৫৪।