বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে নতুন এক রেকর্ড হলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস-খুলনা টাইগার্স ম্যাচে। এক ম্যাচে হয়েছে দুই সেঞ্চুরি।
এর আগেও একই ম্যাচে দুটি সেঞ্চুরি দেখেছে বিপিএল দর্শকরা। সব মিলিয়ে এটি জোড়া সেঞ্চুরির তৃতীয় ঘটনা।
শনিবার প্রথম ইনিংসে কুমিল্লার জার্সিতে সেঞ্চুরি করেন ফাফ ডু প্লেসি। টার্গেটে নেমে খুলনার জার্সিতে সেঞ্চুরি করেন আন্দ্রে ফ্লেচার। ৬০ বলে শতক পূরণ করেন ফ্লেচার। ৫৪ বলে ১০১ করেছিলেন ডু প্লেসি।
বিপিএলের চলতি আসরে গত ২৮ জানুয়ারি এক ম্যাচে দুই দলের দুই ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরির প্রথম দেখা মেলে। সে ম্যাচে সিলেট সানরাইজার্সের হয়ে লেন্ডল সিমন্স ও মিনিস্টার ঢাকার হয়ে তামিম ইকবাল সেঞ্চুরি করেন।
তবে বিপিএলে এক ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি তার আগে আরেকবার হয়েছে। তবে তা করেছিলেন একই দলের দুজন। ২০১৯ আসরে চট্টগ্রামে খেলায় রংপুর রাইডার্সের হয়ে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিলেন অ্যালেক্স হেলস ও রাইলি রুশো।
টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এক ম্যাচে দুই সেঞ্চুরির তৃতীয় ঘটনার দেখা মিলেছে শনিবার।
এদিন জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে সেঞ্চুরিয়ান ফ্লেচারের দল খুলনা। ৮ বল বাকী থাকতে ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতে নিয়েছে দলটি। কুমিল্লার ডু প্লেসি সেঞ্চুরি করেও হার এড়াতে পারেননি।
ফ্লেচার আর ওপেনার মেহেদী হাসানের জুটিতে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় খুলনা। কুমিল্লার দেয়া ১৮৩ রানের টার্গেটে নেমে ১ ওভার ২ বল বাকী থাকতে জয় তুলে নিয়েছে মুশফিকুর রহিমের দল।
ফ্লেচারের সেঞ্চুরির দিনে ৪৯ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলে টুর্নামেন্টে নিজের প্রথম অর্ধশতক তুলে নেন মেহেদী। অন্যদিকে ৬ চার ও ৬ ছয়ে সেঞ্চুরি পূরণ করেন ফ্লেচার।
এর আগে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ১৮২ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। একাই দলকে টেনে নিয়ে সেঞ্চুরি করেন ডু প্লেসি। দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেন মাহমুদুল হাসান জয়। তার ব্যাট থেকে আসে ৩১ রান।
ফ্লেচারের সেঞ্চুরিটি ছিল নিজের প্রথম ও টুর্নামেন্টের ২৫তম সেঞ্চুরি। চলমান আসরে চতুর্থ সেঞ্চুরি।
দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ দুটি সেঞ্চুরি করেন তামিম। এর আগে ২০১৯ সালে কুমিল্লার জার্সিতে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।
বিপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৫টি সেঞ্চুরি করেন ক্রিস গেইল। বিপিএলের প্রথম দুটি সেঞ্চুরি এসেছিল তার ব্যাট থেকেই।