বিপিএলে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয় পেল মিনিস্টার ঢাকা। মুশফিকুর রহিমের দলের দেয়া ১৩০ রানের সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট ও ৪ বল হাতে রেখেই জয় পায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বাহিনী।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন খুলনার অধিনায়ক মুশফিকুর। ব্যাট করতে নেমে শুরুতে হোঁচট খায় খুলনা। ১২ রান তুলতে চার উইকেট হারায় তারা।
ব্যাট হাতে এই ম্যাচেও ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন সৌম্য সরকার। রুবেল হোসেনের শিকার বনে মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১ রান।
আরেক ওপেনার আন্ড্রে ফ্লেচারকে ৬ রানে আটকে দেন আরাফাত সানি। তার আগে ভুল বোঝাবুঝিতে নিজের উইকেট বিলিয়ে জাকের আলি ফেরেন ৬ রানে। আর রানের খাতা খোলার আগে সাজঘরে ফেরেন ইয়াসির আলি।
বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন অধিনায়ক মুশফিকও। ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান ফেরেন ১২ রানে। উইকেটের এক প্রান্তে যখন চলছে আসা যাওয়ার মিছিল তখন অপরপ্রান্ত আগলে ধরে লড়াই চালিয়ে যান সিকান্দার রাজা। দলকে ১০০ রান পার করানোর পাশাপাশি তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক। তার ৫০ বলে ৬৪ রানের ইনিংসে ভর করে ৮ উইকেটের খরচায় ১২৯ রানের পুঁজি পায় খুলনা।
ঢাকার হয়ে ২টি করে উইকেট নেন আজমাতউল্লাহ ওমরজাই ও আরাফাত সানি। ১টি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেন রুবেল হোসেন, ফজলহক ফারুকি, কাইস আহমেদ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১২ রানে দুই ওপেনারকে হারায় ঢাকা। নাবিল সামাদের এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পরে ৬ রানে মাঠ ছাড়েন তামিম। ৬ বল পরেই নাবিল সামাদের হাতে ধরা দিয়ে খালেদ আহমেদের শিকার বনেন ইমরানউজ্জামান।
এরপর জহুরুল হককে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেয়ার মিশনে ব্যাট চালানো শুরু করেন দলপতি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। জহুরুলের ৩৫ বলে ৩০ ও রিয়াদের ৩৬ বলে ৩৪ রানের ইনিংসে জয়ের পথে এক পা রেখে দেয় ঢাকা। বাকি কাজটা সহজে সেরে আসেন শুভাগত হোম আজমতউল্লাহ ওমরজাই মিলে। দলকে এনে দেন ৫ উইকেটের দুর্দান্ত এক জয়।