জয়ের জন্য শেষ ওভারে মিনিস্টার ঢাকার প্রয়োজন ছিল ৯ রান। হাতে তখনও পাঁচ উইকেট। উইকেটের এক প্রান্তে থিতু হয়ে বসা তামিম ইকবাল অপরপ্রান্তে কয়েস আহমেদ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বাস্তবতায় যে কেউই জয়ী দল হিসেবে অবলীলায় ঢাকার পক্ষে বাজি ধরবেন সেটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু সে ম্যাচ হারতে হল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দলকে। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে মঙ্গলবার নিজেদের অষ্টম ম্যাচে তিন রানে হেরেছে ঢাকা। চট্টগ্রামের দেয়া ১৪৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৪৫ রানে থামতে হয় ঢাকাকে।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে হোঁচট খায় সাগরিকার দলটি। দলীয় ৯ রানে পতন ঘটে তাদের প্রথম উইকেটের। দ্রুত উইকেট পতনে দলের বিপর্যয় কাটাতে কাধ দায়িত্ব তুলে নেন উইল জ্যাকস ও নতুন দলপতি আফিফ হোসেন।
দুইজনে মিলে গড়েন ৪০ রানের জুটি। ২৬ করে উইল জ্যাকস ও ২৭ করে আফিফ বিদায় নিলে আরেকবার ধস নামে চট্টলার শিবিরে।
এ সময় ত্রাতা হয়ে আবির্ভূত হন শামিম হোসেন পাটোয়ারি। তার ৩৭ বলে ৫২ ও শেষদিকে বেনি হাওয়েলের ১৯ বলে ২৪ রানের ইনিংসের সাহায্যে ১৪৮ রানের পুঁজি পায় চট্টগ্রাম।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২১ রানে টপ অর্ডারকে হারায় ঢাকা। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তামিম ইকবালের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে লড়াইয়ে ফেরে দল।
রিয়াদ ২৪ রানে ফিরলেও উইকেট আগলে থেকে তামিম তুলে নেন দুর্দান্ত অর্ধশতক। এটি চলতি বিপিএলে তার চতুর্থ অর্ধশতক।
তার ব্যাটে জয়ের সুবাস পেতে শুরু করে ঢাকা। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ঢাকার প্রয়োজন ছিল ৯ রান। ওভার করতে আসেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। আর তাতে পালটে যায় ম্যাচের ছবি।
বল হাতে প্রথম ডেলিভারিতে ফেরান কয়েস আহমেদকে। পরের দুই বল দেন ডট। ফলে ঢাকার লক্ষ্য দাঁড়ায় তিন বলে ৯ রান।
পরের বলটি হয় ওয়াইড। চতুর্থ বলে সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইক নেন তামিম। পরের বল ব্যাটে লাগাতে না পেরে লেগ বাই থেকে এক রান নেন তামিম।
ওভারের পঞ্চম বলটি নো হয় মৃত্যুঞ্জয়ের। আর শেষ বলে এক রানের বেশি নেয়া সম্ভব হয়নি নাঈম শেখের পক্ষে। আর তাতে শ্বাসরুদ্ধকর এক জয় দিয়ে ঢাকাকে টপকে টেবিলের চারে উঠে আসে চট্টগ্রাম।