বিপিএলের শুরু থেকে নানা কারণে সমালোচনার জন্ম দিচ্ছে টুর্নামেন্টের ফ্র্যাঞ্চাইজি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এই তো কিছুদিন আগে সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে ম্যাচ শুরুর তিন ঘণ্টা আগে হুট করে মেহেদী হাসান মিরাজকে অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে সেখানে বসানো হয় মোহাম্মদ নাঈম হাসানকে।
আর সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জন্ম নেয় বিতর্ক। মিরাজকে সরিয়ে দেয়ার ঘটনাটি সে সময় মনে করিয়ে দেয় ২০১৩ সালে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের স্পট ফিক্সিংকে।
যদিও বিষয়টিকে ম্যাচের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ব্যাখ্যা করে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। টুর্নামেন্টের এক পর্ব পার করে কর্তাদের মনে হয়েছিল দলে ‘এক্সপেরিমেন্ট’ করার। টেবিলের শীর্ষে থাকা দলটির পক্ষ থেকে দেয়া এমন খোঁড়া যুক্তিতে সন্দেহের তির পাতানো ম্যাচের থেকে কিছুটা সরলেও, তাদের নিত্যনৈমিত্তিক কার্যকলাপে বারবার আঙুল তুলতে হচ্ছে।
মিরাজের থেকে অধিনায়কত্ব নাঈমের ওপর বর্তালেও তাকেও বেশি দিন নেতৃত্বে রাখেনি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সিলেট পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আরও এক অধিনায়কের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয় ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। মঙ্গলবার মিনিস্টার ঢাকার বিপক্ষে ম্যাচে সাগরিকার দলটিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব।
এই অধিনায়ক পরিবর্তনের ঘটনাটিও চুপিসারে সেরেছে চট্টগ্রাম কর্তৃপক্ষ। ছিল না কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি, ছিল না কোনো মৌখিক ঘোষণা। ম্যাচের দিন আফিফকে অধিনায়ক করে টিম লিস্ট দিয়েছে দলটি।
একই সঙ্গে সাবেক অধিনায়ক নাঈম ইসলামকে রাখা হয়নি একাদশে।
এ বিষয়ে জানতে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তাদের দিক থেকে কোনো সাড়া মেলেনি।
নাঈমের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম চার ম্যাচের ভেতর জয় পেয়েছে মাত্র একটিতে। সেটিও টুর্নামেন্টের তলানির দল সিলেটের বিপক্ষে। এই ম্যাচের আগেই অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন নাঈম। এরপর আর জয়ের দেখা পায়নি দলটি।
পরিসংখ্যান বলছে চট্টগ্রামের দলে এক অধিনায়ক চার ম্যাচের বেশি অধিনায়কত্ব করতে পারে না। সেই হিসাবে টুর্নামেন্টের বাকি পথ যদি চট্টগ্রাম টিকে যায় তাহলে ধারণা করে নেয়াই যায় আফিফের পর হয়তো আরও একজন অধিনায়কের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।