আফ্রিকান কাপ অফ নেশনসের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল মিশর ও সেনেগাল। দুই দলকে ছাপিয়ে সব আলো কেড়ে নেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের জায়ান্ট লিভারপুলের দুই সতীর্থ মোহামেদ সালাহ ও সাদিও মানে। দুই বন্ধু মুখোমুখি হন আফ্রিকার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে।
শেষ হাসিটা অবশ্য হেসেছেন মানেই। নির্ধারিত সময় ম্যাচ গোলশূন্য থাকার পর ফাইনাল গড়ায় টাইব্রেকারে।পেনাল্টি শুট আউটে ৪-২ গোলে মিশরকে হারিয়ে শিরোপা জয়ের আনন্দে মাতে সেনেগাল।
মিশরের হয়ে টাইব্রেকে শট মিস করেন মোহামেদ আব্দুলমোমেন ও মোহামেদ লাশিন।
তারকা ফরোয়ার্ড সালাহ শটই নিতে পারেননি। তিনি দলের হয়ে শেষ শট নেয়ার অপেক্ষায় ছিলেন।
তার আগেই সেনেগাল চারটি শট থেকে গোল করে শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলে। দলের হয়ে ম্যাচ জয়ী পেনাল্টি শট নেন মানে।
ম্যাচের ৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে সুযোগ হাতছাড়া করেন মানে। তবে কাজের সময় ঠিকই শুট আউট থেকে স্কোর করে হিসেব চুকিয়ে দেন লিভারপুলের এ ফরোয়ার্ড।
অন্যদিকে গোলখরায় ভুগতে থাকা মিশর টানা চতুর্থ ম্যাচ নিয়ে যায় পেনাল্টি শুট আউটে।
তবে, এতকিছু ভাবনার অবকাশ ছিল না সেনেগালের খেলোয়াড়দের। ম্যাচ শেষে পুরো দেশ উল্লাসে ফেটে পড়ে।
ফুটবলে নিজেদের প্রথম বড় শিরোপা জয়ে সেনেগালের রাজধানী ডাকারের রাস্তায় রাস্তায় ছিল উৎসব। এক দিনের সরকারি ছুটিও ঘোষণা করা হয়েছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে।
আগের দুই টুর্নামেন্টের ফাইনালে হারের পর এবারের শিরোপা বাড়তি আনন্দ দিচ্ছে দলকে জানান হেড কোচ আলিউ সিসে।
রোববার রাতের ফাইনাল শেষে ক্যামেরুনের রাজধানী ইয়াউন্ডেতে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘এ জয় প্রমাণ করে যে পরিশ্রম করলে ও লেগে থাকলে সাফল্য আসবেই। আমি খুবই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিল। সেনেগাল এ ট্রফির জন্য ৬০ বছর অপেক্ষা করেছে।’
টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়েছেন সাদিও মানে। ৮ গোল করে সেরা গোলদাতা ক্যামেরুনের ভিনসেন্ট আবুবাকার। আর সেরা গোলকিপার সেনেগালের এডুয়ার্ডো মেন্ডি।