ইংল্যান্ডকে হারিয়ে নিজেদের ঘরে পঞ্চম শিরোপা তুলল ভারতের যুবারা। ফাইনালে দলটিকে ৪ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা নিজেদের করে নেয় ভারত।
অ্যান্টিগার স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে স্থানীয় সময় শনিবার রাতের এ ম্যাচে ইংল্যান্ডের করা ১৮৯ রানের জবাবে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে ভারত।
সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলে রানের খাতা খোলার আগে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। জশুয়া বয়ডেনের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে আউটসাইড এজ হয়ে হরটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন অংক্রিশ রাঘুভাংশি।
দ্রুত উইকেট পতনে বিপর্যয় সামলে ভারত লড়াইয়ে ফেরে হারনুর সিং ও সাইক রাশিদের ব্যাটে। ৪৬ বলে ২১ করে হারনুর বিদায় নিলেও উইকেট কামড়ে ধরে ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নেন রাশিদ, তবে অর্ধশতক তুলে নেয়ার পরপরই তাকে থামিয়ে দেন জেমস সেলস।
বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন দলপতি ইয়াশ ধুলও। ৩২ বলে ১৭ করে তিনি ফেরেন সাজঘরে।
৫৪ বলে ৩৫ করে ফেরেন রাজ বাওয়ার। তার ফেরার পর বাকি কাজটা সহজেই সারেন নিশান্ত সিধু ও দীনেশ বাওয়া মিলে। দলকে তিনি এনে দেন ৪ উইকেটের বড় জয়। আর এরই মধ্য দিয়ে অপরাজিত থেকেই বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেল ভারত।
শুরুতে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয় সঙ্গী হয় ইংল্যান্ডের। দলীয় চার রানে রাভি কুমারের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে মাঠ ছাড়েন ওপেনার জ্যাকব ব্যাথেল। সেই থেকে শুরু। এরপর একে একে দুই অঙ্কের রান ছোঁয়ার আগেই মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক টম প্রেস্ট, উইলিয়াম লাক্সটন ও জর্জ বেল।
ভারতের পেইসার রাজ বাওয়া ও রাভি কুমারের বোলিং তোপের সামনে খাবি খাচ্ছিলেন ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা, যার ফলে ৯১ রান তুলতেই ৭ ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফেরে ইংল্যান্ডের।
দলের বাকিরা যখন আসা যাওয়ার মিছিলে ব্যস্ত, সে সময় উইকেটের এক প্রান্ত আগলে ধরে রানের চাকা সচল রাখেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জেমস রিউ। জেমস সেলসের সঙ্গে জুটি বেঁধে তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক।
দুজনের অবিচ্ছেদ্য ৯৩ রানের জুটিতে ভর করে লড়াইয়ে ফেরে ইংল্যান্ড। ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে রিউ ব্যাট চালাতে শুরু করেন সেঞ্চুরির দিকে। পৌঁছেও গিয়েছিলেন প্রায়, কিন্তু খেই হারিয়ে ফেলে রাভি কুমারের শিকার হয়ে তাকে থামতে হয় ৯৫ রানে।
পরে আর খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেননি ইংল্যান্ডের কোনো ব্যাটসম্যান। শেষ পর্যন্ত ৪৪.৫ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রানের পুঁজি নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইংল্যান্ড।
ভারতের হয়ে রাজ বাওয়া নেন পাঁচটি উইকেট। রাভি কুমার নেন চারটি। আরেকটি উইকেট যায় কুশাল টাম্বের ঝুলিতে।