ফিক্সিংয়ের দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে আরামবাগ স্পোর্টিং ক্লাবের কয়েকজন কর্মকর্তা ও ফুটবলারকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ফিফা। বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ এই নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে ক্লাবটির চার কর্মকর্তাকে আজীবন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে ১১ ফুটবলারকে।
শুক্রবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন বাফুফে।
আজীবন নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ক্লাবটির কর্মকর্তারা হলেন ক্লাবটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান এম. স্পোর্টসের সত্ত্বাধিকারী মো. মিনহাজুল ইসলাম মিনহাজ, সাবেক টিম ম্যানেজার গওহর জাহাঙ্গীর রুশো, সাবেক ফিটনেস ট্রেইনার মাইদুল ইসলাম শেখ ও সাবেক টিম ম্যানেজার মো. আরিফ হোসেন।
পাশাপাশি ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন ক্লাবটির সাবেক ভারতীয় ফিজিও সঞ্জয় বোস, সাবেক গেম এনালিস্ট ও প্লেয়ার এজেন্ট আজিজুল শেখ।অপরদিকে গোলকিপার আবুল কাশেম মিলন, আপেল মাহমুদ, ডিফেন্ডার আল আমিন, মোহাম্মদ রকি, জাহিদ হোসেন, কাজী রাহাদ মিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান সৈকত, মিডফিল্ডার ওমর ফারুক, রাকিবুল ইসলাম, ফরোয়ার্ড মেহেদী হাসান ফাহাদ ও মিরাজ মোল্লাকে এক বছরের জন্য সব ধরনের ফুটবল থেকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ফিফা।
সেই সঙ্গে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সিজরা ক্রিস্টোফারকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ফিফা। পাশাপাশি ডিফেন্ডার মো. শামিম রেজা ও অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্ডার ব্রেইডি ক্রিস্টিয়ানকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে তিন বছরের জন্য।
উল্লেখ্য, আরামবাগের ৩টি ম্যাচে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছিল। ১৭ জানুয়ারি আরামবাগের বিপক্ষে মোহামেডানের ম্যাচটি এর অন্তর্ভুক্ত। মোহামেডানের কাছে ৩-০ গোলে তারা হেরেছে ম্যাচ।
৯ ফেব্রুয়ারি শেখ রাসেলের বিপক্ষে আরামবাগের ম্যাচটিও ছিল পাতানো। রাসেলের কাছে ৪-০ গোলে হারে আরামবাগ। আবাহনীর সঙ্গে আরামবাগের ১৩ ফেব্রুয়ারির ম্যাচটিতে ছিল ফিক্সিং। ৪-০ গোলে ওই ম্যাচে আবাহনীর কাছে হারে আরামবাগ।