বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শর্তের বেড়াজালে আটকে এলিটার লাল-সবুজের স্বপ্ন

  •    
  • ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২২:১৬

বাংলাদেশের নাগরিকত্ব আর নাইজেরিয়ার ছাড়পত্র থাকলেও একটি শর্তে আটকে গেছেন এলিটা। বাংলাদেশে এসে ৫ বছর থাকতে হবে তাকে। প্রতি বছরে ফুটবল মৌসুমে অন্তত ১৮৩ দিন থাকতে হবে দেশে। এই শর্তগুলোই পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না বাংলাদেশের।

জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন শেষ হয়ে আসছে এলিটা কিংসলের। নাগরিকত্ব থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের হয়ে খেলা হচ্ছে না এ ফুটবলারের। লাল-সবুজ জার্সিটা গায়ে জড়িয়ে আপাতত মাঠ দাপিয়ে বেড়ানোর স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে না এ সাবেক নাইজেরিয়ানের।

বিশ্ব ফুটবলেরর সর্বোচ্চ অভিভাবক ফিফার শর্তের বেড়াজালেই আটকে গেছে তার খেলার স্বপ্ন। দুই দুই বার আবেদন করেও খেলার অনুমতি মিলেনি বসুন্ধরা কিংসের এ ফুটবলারের।

নাইজেরিয়ান নাগরিকত্ব সারেন্ডার করে ২০১৬ সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন এলিটা। ২০২১ সালের মার্চ মাসে নাগরিকত্ব পান। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের পাসপোর্টও হাতে পান তিনি।

নাগরিকত্ব পাওয়ার পর এক বছর হতে চলল, স্বপ্ন ছুঁয়ে দেখা হচ্ছে না এলিটার।

অনুমতি পাওয়ার পুরো বিষয়টি দেখভাল করছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। সবমিলে দুবার আবেদন করেছে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ অভিভাবকরা। যে দেশে ফিফার প্রেসিডেন্ট ঘুরে যায় সেই দেশের আবেদন দুই বারই খালি হাতে ফিরে আসে।

সমস্যাটা মূলত কোথায়? কী সেই ফিফার শর্ত? কেন জাতীয় দলে খেলার অনুমতি মিলছে না এলিটার? বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছে বাফুফে।

ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেন, ‘ভিন্ন নাগরিকত্ব থাকার পর বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নিয়ে জাতীয় দলে খেলানো হয়। জামাল ও তারিক কাজীদের ক্ষেত্রে যেটা হয় ফিফা নিয়মানুযায়ী তাদের বায়োলজিকাল ফাদার বা বংশের কারও বাংলাদেশের নাগরিকত্ব থাকলে বিষয়টা সহজ হয়। তবে এলিটার ক্ষেত্রে তেমন ছিল না।’

জাতীয় দলে খেলার উদ্দেশ্য করে নাগরিকত্ব করা হয়েছে কী না এমনটাও দেখছে ফিফা। সম্প্রতি যে শর্তটা দেয়া হয়েছে তাহলো সবশেষ পাঁচ বছরে ফুটবলে মৌসুমে এলিটা কোথায় ছিলেন সেটা কনফার্ম করা এবং বিভিন্ন কারণে তিনি যে বাইরে গিয়েছিলেন কী কারণে সেটা জানানো। ফিফা থেকে ইতিবাচক কিছু পাইনি এখনও।’

বাংলাদেশের নাগরিকত্ব আর নাইজেরিয়ার ছাড়পত্র থাকলেও একটি শর্তে আটকে গেছেন এলিটা। বাংলাদেশে এসে ৫ বছর থাকতে হবে তাকে। প্রতি বছরে ফুটবল মৌসুমে অন্তত ১৮৩ দিন থাকতে হবে দেশে। এই শর্তগুলোই পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না বাংলাদেশের।

ফিফা থেকে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে, এ বিষয়ে আর কোনো জবাব পাবে না বাংলাদেশ। এলিটাকে চাইলে খেলাতে পারবে বাংলাদেশ। তবে প্রতিপক্ষের অভিযোগ এলে নিষেধাজ্ঞার খড়গে পড়তে হবে বাফুফে।

তাই এলিটার ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। অনুমতির বিষয়টি এখন উঠবে জাতীয় দল কমিটির বৈঠকে। সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে আদৌ এই বিষয় নিয়ে ফিফার কাছে আর যাবে কি না বাফুফে।

আপাতত ফুটবল সমর্থকদের অপেক্ষার প্রহর যে বাড়ছে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। যত সময় গড়াবে আরও ক্ষয়ে যাবে বাংলাদেশের হয়ে এলিটার খেলার স্বপ্ন।

২০১১ সাল থেকে বাংলাদেশে ঘরোয়া ফুটবলে খেলছেন কিংসলে। এখন খেলছেন বসুন্ধরা কিংসের জার্সিতে।

এ বিভাগের আরো খবর