আগামী মার্চের ফিফা উইন্ডোতে জাতীয় দলকে ব্যস্ত রাখার পরিকল্পনায় সবমিলিয়ে ৫ দেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।একই সঙ্গে ম্যাচের আগে জাতীয় দলকে টিকার আওতার আনার পরিকল্পনা নিচ্ছে ফেডারেশন।
এক ভিডিও বিবৃতির মাধ্যমে বিষয়গুলো গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ। মার্চের ফিফা উইন্ডোকে বিবেচনায় রেখে আসন্ন প্রিমিয়ার লিগের ফিক্সচার তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সোহাগ বলেন, ‘মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহের আগে লিগের তেমন ব্যস্ততা নাই। আমাদের পুরুষ ফুটবল দলের কথাই যদি বলি মার্চের ফিফা উইন্ডোকে মাথায় রেখে ফিক্সচার তৈরি করছি। মার্চ উইন্ডোর আগে লিগের অনেক খেলাই শেষ করতে পারব। মার্চ উইন্ডোর পরে যথারীতি খেলা শুরু হবে।’
সবমিলে এবার দক্ষিণ এশিয়ার একটি ও আশিয়ান অঞ্চলের চারটি দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানায় বাফুফে।
সোহাগ বলেন, ‘আমরা ৫ টা দেশের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছি। মঙ্গোলিয়া, লাওস, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। আগামী ৭-১০ দলের মধ্যে কাজ করে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে কনফার্ম করতে চাই মার্চ উইন্ডোতে কার সঙ্গে খেলছি ও কোথায় খেলছি।’
প্রাথমিক আলোচনায় অন্তত দুটি ম্যাচ খেলতে চায় বাংলাদেশ। সোহাগ বলেন, ‘প্রাথমিক আলোচনায় আমরা দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে চাচ্ছি। অন্তত যাতে দুইটা ম্যাচ খেলতে পারি। কোনওভাবে যদি তিন দেশ নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ হয় তাহলে সম্ভাবনা আছে। সম্প্রতি তেমন ফিডব্যাক দেশগুলো থেকে পেয়েছি। সুযোগ থাকলে আমরা চেষ্টা করব।’
এর আগে জানুয়ারির ফিফা উইন্ডোতে ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। খেলোয়াড়দের সবার ডাবল ডোজ না থাকায় সফরটি বাতিল হয়ে যায়। এবার সপ্তাহখানের মধ্যে জাতীয় দলকে টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনার কথা জানান সোহাগ।
বাফুফের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পুরুষ ফুটবল দলের অধিকাংশ খেলোয়াড়দের আমরা আগামী সপ্তাহখানের মধ্যে তাদের জন্য একটা ডেট নেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত যাদের একদমই কোনও ডোজ নেয়া হয়নি, আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যে তাদের ডোজ এমনভাবে কমপ্লিট করব যাতে করে ডাবল ডোজ বা ভ্যাকসিনেশনের কোনও সমস্যা সামনে আসতে না পারে।’
পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মঙ্গলবার বয়সভিত্তিকসহ ৪৫-৪৮ নারী ফুটবলারের প্রথম ডোজ দেয়া হবে বলে জানায় বাফুফে।