রোববার দিনভর চলেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স দলপতি মেহেদি হাসান মিরাজের বিপিএল খেলা না খেলার নাটক। অধিনায়কত্ব কেড়ে নেয়ায় হুট করে বিকেলবেলা বায়ো বাবল ভেঙে টিম হোটেল ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। এমন সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখিও হন তিনি।
বেশ কাছে থেকে সংবাদমাধ্যমকে জানান বিভিন্ন তথ্য। এমনকি রাতে সংবাদ সম্মেলনে সশরীরে উপস্থিত থেকে দেন বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর। যেহেতু তিনি টিম হোটেল থেকে বেরিয়ে গেছেন, তাই স্বাভাবিকভাবেই বেরিয়ে এসেছেন বায়ো বাবল থেকে।
কিন্তু পরদিন সকালে মাঠে দেখা গেল মিরাজকে। খেলেছেন কুমিল্লার বিপক্ষে ম্যাচেও।
চট্টগ্রামে হোটেলের বাইরে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন মেহেদী মিরাজ। ছবি: সংগৃহীত
যেই সময়টা আইসোলেশনে থাকার কথা ছিল মিরাজের, সেই সময় তিনি সতীর্থদের সঙ্গে লড়ছেন ২২ গজে।
বোর্ডের থেকে স্পষ্ট উল্লেখ করা রয়েছে বায়ো বাবলের ভেতর থেকে খেলোয়াড়দের খেলতে হবে এই টুর্নামেন্ট। কেউ যদি বায়ো বাবল ভাঙে তাহলে তাকে করোনা পরীক্ষা করিয়ে, কোয়ারেন্টিনে থেকে নেগেটিভ আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করে তারপর যোগ দিতে হবে দলের সঙ্গে।
কিন্তু চট্টগ্রাম তাদের সাবেক অধিনায়ককে বায়ো বাবল ভেঙে বের হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই নামিয়ে দিয়েছে মাঠে। যিনি কিনা বায়ো বাবলের আওতায় না থাকা মানুষদের খুব কাছে ছিলেন।
চট্টগ্রামে স্ত্রী-সন্তানসহ হোটেলের বাইরে মেহেদী মিরাজ। ছবি: সংগৃহীত
কীভাবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স তাকে মাঠে নামাল? নিয়ম অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টার ভেতর দুইবার করোনা পরীক্ষা করানোর পর দুইবার নেগেটিভ আসলে সে ক্রিকেটার যোগ দিতে পারবেন দলের সঙ্গে। কিন্তু মিরাজকে বাবল ভাঙার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাঠে নামিয়ে দিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের মিডিয়া ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কোনো সাড়া দেননি। একাধিকবার নিউজবাংলার পক্ষ থেকে ফোন করা হলেও ফোন ধরেননি। রোববার দলটির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের চ্যাটও বন্ধ করে দেয়া হয়।
বিপিএলের শুরু থেকেই চট্টগ্রাম সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলা বা তথ্য দিয়ে সাহায্য করার বিষয়ে পিছিয়ে ছিল। মিরাজের বায়ো বাবল ভাঙা নিয়েও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
মিরাজ বাবলের বাইরে এসেছিলেন কি না? কিংবা তাকে কোন প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মাঠে নামানো হয়েছে সে বিষয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মুখে কুলুপ আঁটা।