ঘটনার সূত্রপাত হয় শনিবার সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে ম্যাচের আগে। হুট করেই চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয় মেহেদী হাসান মিরাজকে। যার ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে পরদিন ঢাকা ফিরে আসার জন্য প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেন তিনি।
এ সময় তিনি জানান অধিনায়ত্ব কেড়ে নেয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ঢাকা চলে আসছেন তিনি। একই সঙ্গে বলেন বিপিএলের বাকি ম্যাচ খেলবেন না।
নিউজবাংলাকে মিরাজ বলেন, ‘এটা আমার কাছে বেশ অসন্মানজনক। এই জন্যই আমি চলে আসছি। বিকালেই চলে আসছি। অনেকে ফোন দিয়েছে কিন্তু আমি কারো কথাই শুনবো না, সে যেই হোক।’
টিম ম্যানেজমেন্ট ও বোর্ডকে পাঠানো চিঠিতে পারিবারিক ইস্যুর কথা জানিয়েছিলেন মিরাজ। কিন্তু সংবাদমাধ্যমকে বলেন অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার বিষয়টি তার জন্য অপমানজনক হওয়ায় না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
রাতে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে অবশ্য পারিবারিক বিষয়টিকেই প্রাধান্য দিলেন জাতীয় দলের এ অলরাউন্ডার। অধিনায়কত্ব কেড়ে নেয়াটা কারণটা দিনভর তার রাগের মূল কারণ থাকলেও রাতের বেলা সেটি বদলে গেল পারিবারিক কারণে।
রোববার রাতে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর সংবাদসম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন মিরাজ। জানিয়েছেন মা অসুস্থ্য থাকায় দলের কাছ থেকে ছুটি চেয়ে ঢাকা ফিরতে চেয়েছিলেন তিনি।
মিরাজ বলেন, ‘বেশ কয়েকদিন ধরে আম্মা অসুস্থ ছিলেন। এখন একা রয়েছেন। দুই-তিন ধরে একটু বেশিই অসুস্থ। দল ছাড়ার মূল কারণ ছিল সেটা। আমি নিজেও একটু বিরতি নিতে চাচ্ছিলাম। কারণ লম্বা সময় ধরে বায়ো বাবলে রয়েছি।
‘ম্যানেজমেন্টকে যে চিঠিটা দিয়েছি সেটা খেলা সংক্রান্ত কিছু নিয়ে দেইনি। দিয়েছি পারিবারিক কারণ জানিয়ে। হয়তো আমি দুই একটা ম্যাচ বিশ্রামও নিতে পারতাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘হ্যাঁ, ওটাও (অধিনায়কত্ব কেড়ে নেয়া) একটা কারণ। ওটায় আমি কষ্ট পেয়েছি। তবে পারিবারিক কারণটাই প্রধান। আমি সিইওকে বলেছি অন্তত দুইটা ম্যাচের জন্য হলেও ছুটি দিতে। দরকার হলে ঢাকায় আবার দলের সঙ্গে যোগ দেব।’