তামিম ইকবালের সেঞ্চুরির পর চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে প্রথম হ্যাটট্রিক দেখল ক্রিকেট ভক্তরা। সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে চলতি আসরের প্রথম হ্যাট্রটিক তুলে নেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বোলার মৃত্যুঞ্জয়ী চৌধুরী।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে শনিবার টুর্নামেন্টের ম্যাচে তিনি আউট করেছেন সিলেটের তিন ব্যাটার এনামুল হক জুনিয়র, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও রবি বোপারাকে।
টানা তিন উইকেটে ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক ও চলমান বিপিএলের প্রথম হ্যাটট্রিক পূরণ করেন মৃত্যুঞ্জয়।
তার হ্যাটট্রিকটি বিপিএলের ইতিহাসে ষষ্ঠতম হ্যাটট্রিক। এর আগে দুরন্ত রাজশাহীর হয়ে প্রথম হ্যাটট্রিক করেছিলেন মোহাম্মদ সামি। পরের চার হ্যাটট্রিক এসেছে যথাক্রমে- আল আমিন হোসেইন, এলিস ইসলাম, ওয়াহাব রিয়াজ ও আন্দ্রে রাসেলের বল থেকে।
চট্টগ্রামের মাটিতে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের পাহাড়সম টার্গেটে নেমে তখন ১৭ ওভার শেষে সিলেটের রান ১৫৪। ৬৮ রানে অপরাজিত ছিলেন এনামুল হক বিজয়। আর রবি বোপারা ১৬ রানে ক্রিজে। মৃত্যুঞ্জয়ের প্রথম দুই বলে ছয় ও চারে ১০ রান নিয়ে ফেলেন বিজয়।
ভয়ঙ্কর হতে যাওয়া বিজয় তৃতীয় বলটা ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। চতুর্থ বলে এবার ক্রিজে সদ্য নামা মোসাদ্দেক ক্যাচ তুলে দেন আফিফের হাতে। দুই বলে দুই উইকেটে হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি হয় মৃত্যুঞ্জয়ের। পরের বলে সুযোগটা হাতছাড়া করলেন না এ পেইস বোলার। পঞ্চম বলে বোল্ড করেন অলরাউন্ডার রবি বোপারাকে।
এতেই হ্যাটট্রিক পূরণ হয় মৃত্যুঞ্জয়ের। হ্যাটট্রিকের দিনে ১৬ রানের জয় তুলে নেয় তার দল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন মৃত্যুঞ্জয়। ২০২১ সালে শাইনপুকুরের জার্সিতে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় তার। সবশেষ স্বাধীনতা কাপে চ্যাম্পিয়ন ইস্ট জোনের বোলার ছিলেন। এবার বিপিএলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সে নাম লিখিয়েছেন ২০ বছর বয়সী এ ক্রিকেটার।