দেশে করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ে কমল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলের ভেন্যু। সাত ভেন্যু থেকে এখন চার ভেন্যুতে গড়াবে বিপিএলের ১৩তম আসর।
বাফুফে ভবনে শনিবার বিকেলে এক জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পেশাদার লিগ কমিটি।
চূড়ান্ত চার ভেন্যু হলো বসুন্ধরা কিংস এরেনা, টঙ্গীর শহীদ আহসানউল্লাহ স্টেডিয়াম, মুন্সিগঞ্জের শহীদ লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়াম, সঙ্গে আর্মি স্টেডিয়াম।
বাদপড়া চার ভেন্যু হলো গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়াম, সিলেট জেলা স্টেডিয়াম, রাজশাহীর মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়াম, মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যন্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়াম।
বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘আমাদের ভেন্যুগুলো প্রস্তুত ছিল। তবে এই করোনা পরিস্থিতি ও সরকারের বিধিনিষেধ মেনে দলগুলো ঢাকার বাইরে গিয়ে থেকে আবার ফিরে আসার পরিবর্তে আমরা ঢাকার আশপাশে খেলার আপাতত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ক্লাবগুলো এতে সম্মত হয়েছে।
‘এই চার ভেন্যু সাময়িক এই পরিস্থিতির জন্য। অবস্থার উন্নতি ঘটলে তখন আবার সাত ভেন্যুতে চলে যাব।’
করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত চার ভেন্যুতে খেলা অব্যাহত থাকবে। লিগে থাকছে না হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে গেম। সেভাবেই ফিকশ্চার করা হচ্ছে বলে জানায় কমিটি।
আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘এখনও কোনো ক্লাবের নিজস্ব ভেন্যু থাকবে না। চারটি ভেন্যুই বাফুফের ব্যবস্থাপনায় থাকবে। সব ভেন্যুতে সব দলের সমান ম্যাচ থাকে যেন ফিকশ্চারে সেটা নিশ্চিত করা হবে। সভায় তাদের প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমরা তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেব।’
ভেন্যু হিসেবে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামকে নতুনভাবে যুক্ত করা হয়েছে। তবে সপ্তাহে কয়টি ম্যাচ এ ভেন্যুতে হবে তা চূড়ান্ত হয়নি।
কমিটির চেয়ারম্যানের কথায়, ‘আর্মি স্টেডিয়ামের মাঠটি পুরো সপ্তাহের জন্য পাওয়া যাবে না। আমরা চিঠি দিয়েছি। সপ্তাহে কয়দিন পাওয়া যাবে। সেটা রোববার জানা যাবে।’
রোববার রাজধানীর এক হোটেলে লিগে লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।