লড়াইটা ছিল পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় ও চতুর্থ দলের মধ্যে। একই সঙ্গে ছিল প্রতিশোধের লড়াই। বিপিএলের ঢাকা পর্বের ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে রান-পাহাড়ে চেপে ২৫ রানে হারিয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।আর চট্টগ্রাম পর্বে এসে চ্যালেঞ্জার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে মধুর প্রতিশোধ নিল মুশফিকুর রহিমের দল।
এই জয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে টেবিলের তিনে ঠেলে দুইয়ে উঠে এসেছে খুলনা টাইগার্স।
চট্টগ্রামের দেয়া ১৪৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৭ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখেই জয় পায় মুশফিকুর রহিমের দল।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে জিতে চট্টগ্রামকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় খুলনা। ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে নাবিল সামাদের শিকার হলে মাঠ ছাড়েন কেনার লুইস।
দ্রুত উইকেট পতনের পর আফিফ হোসেন ও উইল জ্যাকসের ব্যাটে ম্যাচে ফেরে চট্টগ্রাম। দলীয় ৬০ রানে জ্যাকসের বিদায়ে ফের ধস নামে মেহেদী মিরাজের দলে।
এক প্রান্তে আসা-যাওয়ার মিছিল চলতে থাকলেও আরেক প্রান্ত আগলে লড়াই চালিয়ে যান আফিফ হোসেন। ৩৭ বলে ৪৪ করে থামতে হয় তাকেও।
শেষ দিকে নাঈম ইসলামের ১৯ বলে ২৫ ও শরিফুল ইসলামের ৬ বলে ১২ রানের ইনিংসে ভর করে ৮ উইকেটে খুলনার সামনে ১৪৩ রানের পুঁজি দাঁড় করায় চট্টগ্রাম।
খুলনার হয়ে তিনটি উইকেট নেন থিসারা পেরেরা। আর একটি করে উইকেট যায় কামরুল ইসলাম, নাবিল সামাদ, মাহেদী হাসান, সেকুগে প্রসন্ন ও ফরহাদ রেজা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথমে বিপর্যয়ে পড়ে খুলনা। এবারের বিপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচে ‘ফ্লপ’ সৌম্য সরকার। তিন বলে বাঁহাতি এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে আসে ১ রান।
এরপর আন্ড্রে ফ্লেচারের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে কাউন্টার অ্যাটাক করে মুশফিকের দল। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দলকে জয়ের দিকে নেয়ার সঙ্গে ফ্লেচার তুলে নেন আসরের প্রথম ব্যক্তিগত অর্ধশতক।
৪৭ বলে ৫৮ করে ফ্লেচার ফিরলে বাকি কাজটা সারেন মুশফিকুর রহিম। ৩০ বলে ৪৪ রানে অপরাজিত থাকার পাশাপাশি দলকে এনে দেন ৬ উইকেটের দুর্দান্ত জয়।