লিভারপুলের সাম্প্রতিক সাফল্যের অন্যতম দুই নায়ক মোহামেদ সালাহ ও সাদিও মানে। ইয়ুর্গেন ক্লপের দুই অন্যতম সেনাপতি বর্তমানে আফ্রিকান কাপ অফ নেশনসের (আফকন) লড়াইয়ে ব্যস্ত। দুজনের দেশ মিসর ও সেনেগাল টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছে। বিশেষজ্ঞদের কাছে শিরোপার জন্য ফেভারিট এ দুই দলই।
মিসরের সালাহ ও সেনেগালের মানে রোববার নামছেন আফকনের শেষ আটের লড়াইয়ে। সেনেগালের প্রতিপক্ষ টুর্নামেন্টের সারপ্রাইজ প্যাকেজ ইকোয়াটেরিয়াল গিনি। আর মিসর লড়বে আরেক ফেভারিট মরক্কোর বিপক্ষে।লিভারপুলের দুই সতীর্থ অবশ্য বন্ধুত্ব ভুলে দেশের হয়ে শিরোপা জিততে মুখিয়ে আছেন।
মানে বলেছেন, নেশনস কাপের শিরোপা জয়ের জন্য তিনি এ পর্যন্ত জেতা সব পদক বিসর্জন দিতে রাজি আছেন। অন্যদিকে সালাহ ২০১০ সালের শিরোপা জয়ের পর মিসরকে আরেকটি শিরোপা এনে দিতে মরিয়া।
৬ ফেব্রুয়ারি টুর্নামেন্টের ফাইনাল। টুর্নামেন্টের সূচি অনুযায়ী মিসর ও সেনেগালের ফাইনালের আগে দেখা হওয়ার সুযোগ নেই। কোয়ার্টার ফাইনালের জন্য চার ফেভারিট দল তিউনিসিয়া, ক্যামেরুন, মিসর ও সেনেগাল। তবে গিনি, গাম্বিয়া, বুরকিনা ফাসো ও মরক্কো যে ছেড়ে কথা বলবে না সেটা বলাই বাহুল্য।
শেষ আটের সবচেয়ে হাই ভোল্টেজ ম্যাচ মিসর ও মরক্কোর। মো. সালাহর সঙ্গে লড়াইটা আচরাফ হাকিমির।
সালাহ টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত মাত্র একটি গোল করেছেন। আর রাউন্ড অফ সিক্সটিনে টাইব্রেকারে একটি স্ট্রাইক এসেছে তার পা থেকে।
অন্যদিকে, টাইব্রেকে জয় না পেলেও কেপভার্দের বিপক্ষে হাড্ডাহাড্ডি লড়ে জিততে হয়েছে সেনেগালকে। ৯ জনের কেপভার্দে রীতিমতো ঘামিয়ে ছেড়েছে মানের দলকে।
ওই ম্যাচ দলকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে উল্লেখ করে মানে বলেন, ‘মৃত্যুর কাছ থেকে ফিরে আসা আপনাকে শক্তিশালী করে তুলবে।’
টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা রক্ষণভাগ সেনেগালের। চেলসির গোলকিপার এডুয়ার্ডো মেন্ডি ও নাপোলির ডিফেন্ডার কালিদু কোলিবালির কারণে এখনও টুর্নামেন্টে কোনো গোল হজম করেনি টেরেঙ্গান লায়নস।