বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের উদ্বোধনী ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৪ উইকেটের জয় পেয়েছে ফরচুন বরিশাল। চট্টগ্রামের দেয়া ১২৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৮ বল আগে ৪ উইকেটে জয় তুলে নেয় সাকিব আল হাসানের দল।শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বরিশাল অধিনায়ক সাকিব। বল করতে নেমে শুরু থেকে তারুণ্য নির্ভর চট্টগ্রামকে চেপে ধরে বরিশালের বোলাররা।ছক্কা দিয়ে ম্যাচ ও মৌশুম শুরু করা কেনার লুইস দুই বল পর নাঈম হাসানের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন। দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছানোর আগে ফেরেন আফিফ হোসেন, সাব্বির রহমান ও অধিনায়ক মেহেদী মিরাজ।শামিম পাটোয়ারি ও নাঈম ইসলামকে ফিরিয়ে অল্পতে চট্টগ্রামকে আটকে দেয়ার শঙ্কা জাগান বরিশালের বোলাররা। কিন্তু উইকেট আগলে রাখেন বেনি হাওয়েল। অপরপ্রান্তে আসা যাওয়ার মিছিল চলতে থাকলেও টিকে থেকে দলকে এগিয়ে নেন তিনি।তার ২০ বলে ৪১ রানের টর্নেডো ইনিংসে ভর করে ৮ উইকেটে ১২৫ রানের পুঁজি পায় সাগরিকার দলটি।দলের হয়ে তিনটি উইকেটে নেন আলজারি জোসেফ। দুটি নেন নাঈম হাসান। আর একটি করে উইকেট শিকার করেন সাকিব আল হাসান, জেইক লিনটট ও ডোয়াইন ব্রাভো।
সাকিব এক উইকেট পেলেও ৪ ওভারে দেন মাত্র ৯ রান।জবাবে ব্যাট করতে নেমে বরিশাল শুরুতে হারায় তাদের ওপেনার নাঈম শেখকে। মেহেদী মিরাজের স্পিন ঘুর্ণিতে একে একে নাজেহাল হতে হয় সাকিব আল হাসান, তৌহিদ হৃদয় ও ইরফান শুক্কুরকে।ম্যাচের পুরোটা সময় নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে রাখলেও ১৫ তম ওভারে মেহেদী মিরাজের তিন আঘাতে শঙ্কা জেগেছিল বরিশালের ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে যাবার।১৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে থিতু হয়ে বসা সৈকত আলিকে ৩৯ রানে থামিয়ে দেন মিরাজ। পরের বলে ফেরান ১৬ রান করা ইরফান শুক্কুরকে। আর সেই ওভারের শেষ বলে ফেরেন সালমান হোসেন।তবে বিপদ ঘটতে দেননি ব্রাভো ও জিয়াউর রহমান। দলকে ৪ উইকেটের জয় এনে দেন ৮ বল বাকি থাকতে।
দল হেরে গেলেও ম্যাচসেরা হয়েছেন চট্টগ্রামের অধিনায়ক মেহেদী মিরাজ।