কিছুক্ষণ পরই বেজে উঠবে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম আসরের দামামা।শুক্রবার বেলা দেড়টায় শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফরচুন বরিশাল ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠবে টুর্নামেন্টের অষ্টম আসরের। দিনের অপর ম্যাচে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে মিনিস্টার ঢাকা।
দুই বছর পর মাঠে গড়াতে যাচ্ছে টুর্নামেন্টটি। গত বছর করোনাভাইরাস মহামারির কারণে টুর্নামেন্টের আসর না বসলেও এবারে ওমিক্রনের প্রকোপের মধ্যে মাঠে গড়াচ্ছে টুর্নামেন্ট।
আসরটির শুরু থেকে ছিল শঙ্কা। ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফদের করোনা পরীক্ষায় অন্তত ২০ ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফের দেহে করোনারে উপস্থিতি মেলার পর শঙ্কা দেখা দিয়েছিল আয়োজন নিয়ে। সব বাধা কাটিয়ে মাঠে গড়াতে যাচ্ছে বাংলাদেশের জনপ্রিয় এই আসর।
অন্য সব টুর্নামেন্টের মতো বিপিএলও হবে বায়ো বাবলের ভেতর। সেই সঙ্গে দর্শক ছাড়াই টুর্নামেন্টটি আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি।
প্রতিদিন অনুষ্ঠিত হবে দুটি করে খেলা। আর প্রথম দিনের খেলাতে নিজেদের সফলতার আশা করছেন চার অধিনায়ক। দিনের প্রথম ম্যাচে লড়বে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও ফরচুন বরিশাল।
একদম তারুণ্য নির্ভর দল বানিয়েছে চট্টগ্রাম। অপরদিকে তাদের প্রতপক্ষ বরিশালের রয়েছে সাকিব আল হাসান, নুরুল হাসান সোহান, নাজমুল হোসেন শান্ত, তৌহিদ হৃদয়, জিয়াউর রহমানের মতো তরুণ ও অভিজ্ঞরা।
আর যার কারণে কাগজ-কলমে এগিয়ে থাকবে বরিশালই। এবারের বিপিএলে সবচেয়ে দামী দল গড়েছে ফরচুন বরিশাল।
তরুণ দল হলেও বরিশালকে হারিয়ে বিপিএল মিশন শুরু করতে চায় চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ বলেন, ‘আমাদের একটি ভারসাম্যপূর্ণ দল আছে। আশা করি কাঙ্খিত ফল পাব। অধিনায়ক হিসাবে আমি উদাহরণ তৈরি করতে চাই।’
অপরদিকে একক পারফরম্যান্সের দিকে না তাকিয়ে দল হিসেবে খেলতে চান ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
সাকিব বলেন, ‘কোন চাপ নেই। যদিও আমরা জানি যে, ছয়টি দলের সকলেই শক্তির দিক থেকে সমান। আমরা পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে একটি ইউনিট হিসাবে খেলতে চাই।’
দিনের দ্বিতীয় খেলায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মিনিস্টার ঢাকা লড়বে মুশফিকুর রহিমের খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে।
নিজেদের কঠিন প্রতিপক্ষ হিসেবে উপস্থাপন করছে ঢাকা। পঞ্চ পাণ্ডবের তিনজনের সমন্বয়ে সাজানো এই দলে আরও রয়েছেন রুবেল হোসেন ও শফিউল ইসলামের মতো সিনিয়র ক্রিকেটার।
পাশাপাশি রয়েছেন নাঈম শেখ, এবাদত হোসেন, রিশাদ হোসেনের মতো তরুণ ক্রিকেটার। আছেন শুভাগত হোম, আরাফাত সানির মতো অভিজ্ঞরাও। অভিজ্ঞ ও তরুণদের মিশেলে বানানো এই দলের নেতৃত্বের গুরুভার পড়েছে মাহমুদুল্লাহর ওপর।
শুরু থেকেই জয়ের ছন্দ শুরু করতে চান ঢাকা দলপতি। রিয়াদ বলেন, ‘টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই ছন্দে থাকাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই উদ্বোধনী ম্যাচে ভালো শুরু করতে চাই।’
অপরদিকে বিপিএলের শেষ আসরে বিপিএলের অধরা শিরোপাটা নিজেদের ঘরে তুলতে চায় খুলনা। আর যে কারণে সেটির জন্য জয় দিয়েই টুর্নামেন্ট শুরু করতে চান খুলনা দলপতি মুশফিকুর রহিম।
তিনি বলেন, ‘গত বছর আমরা শিরোপা জয়ের খুব কাছাকাছি গিয়েছিলাম। কিন্তু পারিনি। এ বছর আমরা অধরা ট্রফিটি পাবার চেষ্টা করব। আশা করি আমরা পারব ও টুর্নামেন্টটিকে স্মরণীয় করে রাখতে পারব।’