বিশ্বের অধিকাংশ বোর্ড যেখানে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের লভ্যাংশ দেয় টুর্নামেন্টের ফ্র্যাঞ্চাইজিদের, সেখানে ভিন্নচিত্র বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বেলায়।১০ বছর ধরে তাদের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত হয়ে আসা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) লভ্যাংশ তারা ভাগাভাগি করতে নারাজ ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে। লভ্যাংশের পুরোটাই চলে যায় বোর্ডের তহবিলে।
যার কারণে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের ভাগ্যে জোটে না টুর্নামেন্টের লাভের অংশ। কাগজ কলমের হিসাবে আর্থিক ক্ষতি জেনেই বিপিএলে দল নেয় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো।
বিপিএলের শুরু থেকে লভ্যাংশ ভাগের বিষয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজিদের চাওয়া ছিল। বোর্ডের কাছে এ বিষয়ে সরাসরি জোরালো আবেদন তারা কখনও করতে পারেনি। কারণ বেশির ভাগ ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে নিয়মিত ছিল না।
যারা নিয়মিত ছিল তারাও রেভেনিউ শেয়ারিংয়ের বিষয়ে বোর্ডের কাছে খুব একটা আগ্রহ দেখায়নি। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সবারই উত্তর ছিল, লাভের জন্য নয়, ক্রিকেটের উন্নয়নে বিপিএলে অংশ নিচ্ছেন তারা।
বর্তমান এ মডেলেই চলছে বিপিএল। ভবিষ্যতেও আয় ভাগাভাগির পথে হাঁটতে নারাজ বিসিবি। বুধবার সংবাদমাধ্যমকে এমনটা জানিয়েছেন বিসিবির পরিচালক ইসমাঈল হায়দার মল্লিক।
মল্লিক বলেন, ‘আসলে বিসিবি এখনও আয় ভাগাভাগি করার অবস্থায় নেই। কারণ বিসিবির আয় কম। বোর্ডের সিদ্ধান্ত হলো কোনো ধরনের রেভেনিউ শেয়ারিংয়ে যাবে না। ভবিষ্যতেও না।’
কম লাভের পরও গত ১০ বছরে ৭ আসরে বিপিএল থেকে বোর্ডের লাভ হয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা। সবশেষ এজিএমে বোর্ডের নিরীক্ষা বিভাগের দেয়া তথ্য মতে গত সাত আসরে বিপিএল থেকে বোর্ডের আয় ৩৫১ কোটি টাকা।
অপর দিকে টুর্নামেন্টটির মোট ব্যয় ১৫০ কোটি টাকার কাছাকাছি। কাগজ-কলমের হিসাবে লাভ ছাড়িয়েছে ২০০ কোটি টাকা।