ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে দুটি প্রীতি ম্যাচ সামনে। এরই মধ্যে জাতীয় ফুটবল দলের জন্য খেলোয়াড় বাছাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। চূড়ান্ত হয়ে গেছে প্রাথমিক স্কোয়াড। কিছু দিনের মধ্যেই আসবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা।
তবে কথা হলো, নতুন কোচ দেশের বাইরে। জানুয়ারিতে প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্ব দেখার পর চূড়ান্ত করার কথা ছিল স্কোয়াড। লিগ পেছালো ফেব্রুয়ারিতে। তার আগে প্রাথমিক স্কোয়াড লক করার বিষয়টি প্রশ্ন তৈরি করেছে ফুটবল অঙ্গনে।
জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটি জানিয়েছে, স্পেনে বসে ইউটিউব-ফেসবুকে খেলা দেখে খেলোয়াড় বাছাই করেছেন নতুন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।
ফিফা উইন্ডোতে ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের জন্য খেলোয়াড় বাছাই নিয়ে ওঠা প্রশ্নের ব্যাখ্যা দিল কমিটি।জাতীয় দলের ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপু বলেন, ‘উনি (হাভিয়ের কাবরেরা) সদ্য সমাপ্ত ফেডারেশন কাপের ম্যাচগুলো দেখেছেন। খেলোয়াড় বাছাইয়ে এই ম্যাচগুলো তাকে বিশেষ সহায়তা করেছে।’
এবার ফেডারেশন কাপে অংশ নেয়নি বসুন্ধরা কিংস, উত্তর বারিধারা ও মুক্তিযোদ্ধা। তিন ক্লাবকে ছাড়া হয়ে যাওয়া টুর্নামেন্ট দেখে কীভাবে প্রাথমিক স্কোয়াড চূড়ান্ত হলো তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। সঙ্গে ইউটিউব-ফেসবুকে অফ দ্য বলে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স দেখার সুযোগ নিয়েও রয়েছে সীমাবদ্ধতা।
এসব প্রশ্নের জবাব এখনও ধোঁয়াশা। এ দিকে কমলাপুরের টার্ফে খেলে ইনজুরিতে পড়েছেন জাতীয় দলের নিয়মিত একাদশের এক ঝাঁক ফুটবলার। ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে খেলার সুযোগ একেবারে নাই তপু বর্মণ, রিয়াদুল রাফি, সুশান্ত ত্রিপুরা ও হৃদয় খানের।
কীভাবে এ ঘাটতি পূরণ করবে জাতীয় দল?
দলের ম্যানেজার বলেন, ‘দেশ সবসময় চায় তাদের প্রয়োজনীয় খেলোয়াড়দের নিয়ে মাঠে নামার। এ ক্ষেত্রে কারও যদি ইনজুরি থাকে তাহলে তার বিকল্প হিসেবে যে খেলোয়াড় থাকবেন তারা সুযোগ পাবেন। নতুনদের জন্য এটা একটা সুযোগ।’
জাতীয় দলকে প্রস্তুত করতে ৭ থেকে ১০ দিনের সময় চেয়েছেন নতুন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। তবে কোচ কবে ঢাকায় আসছেন তা এখনও অজানা। ধোঁয়াশা অনেক প্রশ্নেরও। কোচ এসে সকল প্রশ্নের জবাব দেবেন।
আগামী ২৪ ও ২৭ জানুয়ারি ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশের।