নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ঐতিহাসিক জয়ের পর আত্মবিশ্বাসে উড়ছে বাংলাদেশ দল। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসের অন্যতম সেরা এ জয়ের রেশ নিয়ে দল পৌঁছেছে দ্বিতীয় টেস্টের ভেন্যু ক্রাইস্টচার্চে।
রোববার থেকে শুরু হতে যাওয়া সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে মুমিনুল বাহিনী। ক্রাইস্টচার্চের বিখ্যাত হ্যাগলি ওভালে হবে টাইগারদের সিরিজ জয়ের লড়াই।
তবে, হ্যাগলি ওভালের পিচ দেখে কিছুটা কি দমে গিয়েছেন মুমিনুলরা? বিশ্বচ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ড দলের প্রত্যাশা অন্তত তেমন থাকবে। হ্যাগলির পিচ ঐতিহ্যগতভাবে একেবারে সবুজ হয়। পরিণত হয় পেইসারদের স্বর্গরাজ্য।
একই সঙ্গে এটি হতে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার রস টেইলরের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। স্মরণীয় কিছু করে বিদায় নিতে মুখিয়ে আছেন ৩৭ বছর বয়সী এ ব্যাটার।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে টেইলর বলেন সিরিজে পিছিয়ে থাকলেও ব্ল্যাক ক্যাপস নিজেদের ঢঙেই ফিরে আসতে চায়।
তিনি বলেন, ‘আমরা ১-০ তে পিছিয়ে আছি। জানি যে ফিরে আসতে হলে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলার বিকল্প নেই। এই মাঠে আমরা সব সময়ই সফলতা পেয়েছি। আমরা জানি এখানে কীভাবে খেলতে হয়।
‘গ্রাউন্ডসম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন স্বাভাবিক উইকেট হবে (হাসি)।’
টেইলরের আনন্দিত হওয়ার কারণ আছে। হ্যাগলি ওভারের স্বাভাবিক উইকেট মানে ঘাসে ঢাকা পিচ। আর বিশ্বমানের সিম বোলিংয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশি ব্যাটারদের দুর্বলতার ইতিহাস বহু পুরোনো। তাই সিম বোলিং অস্ত্রেই সফরকারীদের ঘায়েল করে সিরিজে সমতা আনতে প্রস্তুত স্বাগতিক দল।
টেইলর লুকোছাপা না করেই জানান দিলেন, পিচ দেখে বোলাররা যথেষ্ট সন্তুষ্ট। দ্বিতীয় ম্যাচে হারের কথা ভুলে ইতিবাচক থাকতে চায় পুরো দল।
তিনি বলেন, ‘বোলাররা নিশ্চিতভাবেই পিচ দেখে নিজেদের ঠোঁট চাটছে। তবে ব্যাটারদের মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের চেয়ে ভালো করতে হবে। ওখানকার চেয়ে এ মাঠে মানিয়ে নেয়াটা আমাদের জন্য সহজ হবে।’
প্রথম টেস্ট জয়ের জন্য বাংলাদেশকে পুরো কৃতিত্ব দিচ্ছেন টেইলর। টাইগারদের জয়কে টেস্ট ক্রিকেটের জন্যই সুসংবাদ এমনটা মনে করেন তিনি।
টেইলর যোগ করেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে টিকে থাকতে হলে বাংলাদেশের মতো দলগুলোকে ক্রমাগত উন্নতি করতে হবে। আমি জানি ওই জয় থেকে তারা অনেক আত্মবিশ্বাসী হয়েছে।’
হ্যাগলি ওভালে খেলা ৭টি টেস্ট ম্যাচের মাত্র একটি ড্র হয়েছে, বাকি ছয়টি জিতেছে নিউজিল্যান্ড।