বছরের প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শুরু হচ্ছে ১৭ জানুয়ারি। বিশ্বের সেরা টেনিস তারকারা একে একে আসা শুরু করেছেন অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে। তবে ওয়ার্ল্ড নম্বর ওয়ান নোভাক জকোভিচকে নিয়ে ঘটেছে বিপত্তি।
অস্ট্রেলিয়া সরকারের বিধি অনুযায়ী দুটি কোভিড টিকার ডোজ নিয়েছেন কি না সেটা খোলাসা করেননি জকোভিচ। অস্ট্রেলিয়ান ওপেন কর্তৃপক্ষ তার ক্ষেত্রে আইন কিছুটা শিথিল করলেও বাদ সেধেছে ভিক্টোরিয়া রাজ্য সরকার।
বৃহস্পতিবার ভোরে তারা বিমানবন্দরেই আটকে দিয়েছে জকোভিচকে। টিকার ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট না থাকায় ও অস্ট্রেলিয়ান ওপেন কর্তৃপক্ষ তাকে টিকা ছাড়াই খেলার অনুমতি দিয়েছে বা শিথিল করেছে আইন- এ-সংক্রান্ত কোনো কাগজ বা সনদ দেখাতে ব্যর্থ হন বিশ্বসেরা এই টেনিস তারকা।
ফলে নিয়মানুযায়ী তাকে দেশে ঢুকতে দেয়নি কর্তৃপক্ষ।
এর আগে জকোভিচ জানিয়েছিলেন, কোভিডের ডাবল ডোজের বিষয়ে টুর্নামেন্ট কর্তৃপক্ষ তাকে ছাড় দিয়েছে। এ ইস্যুটি সংবাদমাধ্যমে আসার পরই বেশ সমালোচনা শুরু হয়। অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের মধ্যে তৈরি হয় অসন্তোষ, যার ফলে ভিসা বাতিল করা হলো ২০ গ্র্যান্ডস্ল্যাম বিজয়ীর।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের বর্ডার পেট্রোল সংস্থার অফিশিয়াল ব্যক্তিরা ঘণ্টা দুয়েক বিমানবন্দরে জকোভিচকে জেরা করার পর মেলবোর্নের একটি ভিসা ডিটেনশন সেন্টারে তাকে নিয়ে গেছেন।
জকোভিচের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা বিষয়টির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবেন এবং তার ভিসা বাতিল ও ঢুকতে না দেয়ার বিরুদ্ধে আপিল করবেন। বৃহস্পতিবার তার আপিল শুনবে স্থানীয় একটি আদালত।
বিষয়টি গড়িয়েছে কূটনৈতিক পর্যায়েও। সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট বিষয়টিকে দেখছেন হয়রানি হিসেবে।
প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার ভুচিচ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘নোভাকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাকে আমি বলেছি, পুরো সার্বিয়া আপনার সঙ্গে রয়েছে ও আমাদের সংস্থাগুলো সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে, খতিয়ে দেখছে বিশ্বসেরা টেনিস খেলোয়াড়ের হয়রানি কীভাবে দ্রুততম উপায়ে শেষ করা যায়।’