বাংলাদেশ টেস্ট ম্যাচ জেতে কম। দেশের বাইরে আরও কম। প্রায় ২২ বছরের ইতিহাসে হাতে গোনা যে কয়েকটি টেস্ট সাফল্য আছে টাইগারদের তার প্রায় সবই এসেছে ব্যাটার বা স্পিনারদের হাত ধরে।
নিউজিল্যান্ডের ঐতিহাসিক জয়ের নায়ক অবশ্য একবারেই ভিন্ন। এবাদত হোসেন। যিনি পেইসার।ব্যাট হাতে মাহমুদুল জয়, নাজমুল শান্তদের ভূমিকা নিয়ে দাবি উঠতে পারে।
নিঃসন্দেহে বাংলাদেশকে বড় সংগ্রহ এনে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলার কাজটি ব্যাটাররাই আগে করে দিয়েছেন।
তবে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাদের স্বল্প রানে গুটিয়ে ম্যাচ টাইগারদের নাগালে এনে দেয়ার কাজটা মূলত করেছেন এবাদত।তিন বছর আগে তার অভিষেক হলেও বল হাতে কতটা ক্ষুরধার হতে পারেন তার নিদর্শন রাখলেন এই ২০২২-এর জানুয়ারিতে এসে।
চতুর্থ দিন চার উইকেট নিয়ে দিনটাকে নিজের করে নিয়েছিলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এ কৃতি সৈনিক। পঞ্চম দিনও শুরু হলো তাকে দিয়ে।
বিপজ্জনক রস টেইলরকে ফিরিয়ে নিউজিল্যান্ডের ম্যাচে টিকে থাকার আশা ধুয়ে-মুছে দেন দিনের দ্বিতীয় ওভারে।এরপর কাইল জেমিসনকে তুলে নিয়ে শিকার করেন নিজের ছয় নম্বর উইকেট।
একই সঙ্গে ঢুকে যান রেকর্ড বুকে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৬ রানে ৬ উইকেট নেন এবাদত, যা দেশের বাইরে কোনো বাংলাদেশি বোলারের সেরা বোলিং ফিগার।
আগের সেরা বোলিং ছিল ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে রবিউল ইসলামের ৭১ রানে ৬ উইকেটের কীর্তি।
মজার ব্যাপার হলো, সেটাই ছিল সবশেষ বাংলাদেশি কোনো পেইসারের টেস্টে পাঁচ উইকেট নেয়া। এরপর প্রায় ৯ বছর ও ৪৭ ম্যাচ বাদে টাইগার পেইসার হিসেবে ম্যাচে ৫ উইকেট নিলেন এবাদত।
এটি এবাদতের টেস্ট ক্যারিয়ারেই শুধু নয়, ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট ক্যারিয়ারেরও সেরা সাফল্য।
প্রথম ইনিংসে ৭৫ রানে ১ উইকেট নিয়ে ম্যাচে মোট ৭ উইকেট এ ডানহাতির। ম্যান অফ দ্য ম্যাচও হয়েছেন তিনি।