ঢাকা আবাহনী আর মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব সবশেষ ঘরোয়া ফুটবলের ফাইনালে কবে খেলেছিল? প্রশ্নের জবাব পেতে ফিরে যেতে হবে ২০০৯ সালে। কোটি টাকার সুপার কাপের ফাইনালে সবশেষ এ হাইভোল্টেজ দ্বৈরথ দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন দেশের ফুটবল সমর্থকরা।
এরপর কেটে গেছে ১৩টি বছর। ঐতিহ্য হারাতে শুরু করেছে মোহামেডান। খ্যাতি ধরে রেখেছে আবাহনী। মাঝের সময়টায় আর কোনো ফাইনালে মুখোমুখি হয়নি এ দুই দল।
এক যুগেরও বেশি সময় পর এমন সুযোগ তৈরি হয়েছে ঘরোয়া ফুটবলে। ফাইনালে মুখোমুখি হতে পারে দুই দল।
চলমান ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছে দুই দল। সেমিতে জায়ান্ট কিলার খ্যাত দল রহমতগঞ্জের মুখোমুখি হবে মোহামেডান। আর ডিয়েগো ক্রুসিয়ানির অধীনে তুখোর দলে পরিণত হওয়া সাইফের বিপক্ষে খেলবে আবাহনী।
৮০-৯০ দশকে ঢাকা আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ গ্যালারিতে উপচে পড়া দর্শক। ছবি: সংগৃহীত
এই দুই সেমিতে জয় পেলে কাঙ্ক্ষিত আবাহনী-মোহামেডান দ্বৈরথ দেখার সুযোগ পাবেন দেশের ফুটবল সমর্থকরা।
অতীত রেকর্ড বলছে, সবশেষ ২০০৯ সালে এ ফেডারেশন কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। সবমিলে ১১ বার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে আবাহনী-মোহামেডান। স্বাধীনতা কাপে দুবার আর ফেডারেশন কাপে নয়বার। ঘরোয়া ফুটবলের এই টুর্নামেন্টের টানা দুই আসরেও ফাইনালে খেলে মোহামেডান।
২০০৮ ও ২০০৯ মৌসুমে টানা দুবার ফাইনালে খেলেছিল দুই দল। দু’বারই আবাহনীকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় মোহামেডান।
৯০ দশকে আবাহনী-মোহামেডান দ্বৈরথের একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
এরপরেই যেন খেই হারিয়ে ফেলে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০ বারের শিরোপা জয়ীরা। আর ফাইনালে খেলেনি সাদা-কালো জার্সিধারীরা। পরের ১০ আসরে ৪ বার শিরোপা ঘরে তুলে আবাহনী। মোহামেডানকে টপকে সর্বোচ্চ ১১বার শিরোপা নিজের করে নেয় আকাশী-নীল জার্সিধারীরা।
এবার শিরোপা সমান করারও সুযোগ রয়েছে মোহামেডানের। যদি সেমিতে রহমতগঞ্জ ও ফাইনালটা জিতে নেয় তাহলে আবাহনীর সঙ্গে সর্বোচ্চ শিরোপা ভাগাভাগি করবে মোহামেডান। শিরোপার সংখ্যা বাড়ানোর সুযোগও রয়েছে আবাহনীর সামনে।
আর সেটা করতে হলে ৬ জানুযারি বৃহস্পতিবার সেমির লড়াইয়ে জিতে ফাইনাল নিশ্চিত করতে হবে দুই দলকে।
ফেডারেশন কাপের প্রথম সেমিতে কমলাপুর স্টেডিয়ামে বিকাল সাড়ে চারটায় রহমতগঞ্জের মুখোমুখি হবে শন লেনের মোহামেডান। আর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় সাইফের মুখোমুখি হবে মারিও লেমসের আবাহনী।