বাংলাদেশ জাতীয় দলের টেস্ট নিয়ে বহুল প্রচলিত ধারণা হচ্ছে, দেড় যুগ কাটিয়ে দিলেও এখনও টেস্ট খেলার মানসিকতা গড়ে তুলতে পারেনি টাইগাররা। আর এর প্রমাণ বাংলাদেশ প্রতি সিরিজে দিয়ে আসছে।
এবারের নিউজিল্যান্ড সিরিজের প্রথম টেস্টে সে ধারণাকে কিছু সময়ের জন্য হলেও ভুলিয়ে দিলেন মাহমুদুল হাসান জয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত। উইকেট আগলে দৃঢ় হাতে ব্যাট করে দুই তরুণ যেন জানান দিলেন নিজেদের পরিণত হয়ে ওঠার কথা।
তাদের ব্যাটিংয়ে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল টাইগার ক্রিকেটারদের স্বভাবসুলভ রান করার তাড়া থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন শান্ত ও জয়।
শক্তহাতে উইকেট না হারিয়ে কাটিয়ে দেন প্রথম ঘণ্টা। যদিও ১৯ তম ওভারে চিরাচরিত ফুটওয়ার্ক ইস্যুতে আউট হতে হয় সাদমানকে। কিন্তু এরপর জয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত শুরু করেন নিখাদ টেস্ট ব্যাটিং।
আমাদের পরিকল্পনা ছিল একটা বল, একটা ওভার, একটা ঘণ্টা আমরা কিভাবে পার করবো। যে রকম বল পাব সেভাবেই খেলব। কোন জোরাজুরি করব না
শান্ত ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নিতে ৯০ বল খেললেও জয়ের সেই রান করতে খেলা লেগেছে ১৬৫ বল।
কোন সেই পরিকল্পনায় বদলে গেল দলের ব্যাটিং। সেটিই জানালেন দলের হয়ে বছরের প্রথম হাফ সেঞ্চুরিয়ান শান্ত।
দিন শেষে বিসিবির পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় শান্ত জানান তাদের পরিকল্পনার কথা।
শান্ত বলেন, ‘আমার আর জয়ের প্ল্যান ছিল যেটা, আমরা লম্বা সময়ের জন্য চিন্তা করিনি। আমরা একটা একটা বল চিন্তা করছিলাম। পুরো দিন খেলতে হবে বা এত রান করতে হবে এমন চিন্তা আমাদের ছিল না।’
‘আমাদের পরিকল্পনা ছিল একটা বল, একটা ওভার, একটা ঘণ্টা আমরা কিভাবে পার করব। যে রকম বল পাব সেভাবেই খেলব। কোন জোরাজুরি করব না। জয় খুবই ভাল খেলেছে। আমি যদি দিনটা শেষ করে আসতে পারতাম তাহলে আমাদের জন্য আরও ভাল হত।’
দুইজনের গড়া ১০৪ রানের জুটিতে ছিল না রান করার তাড়া। ছিল না বাজে শটের ফুলঝুড়ি। ১০৯ বল খেলে ৬৪ রান করা শান্ত বিদায় নিলেও টিকে আছেন জয়। ধৈর্য্যশীল ব্যাটিংয়ে দিন শেষে দুই উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
দিন শেষে অপরাজিত রয়েছেন ২১১ বল খেলে ৭০ রান করা জয় ও ২৭ বল খেলে ৮ রান করা মুমিনুল হক।