তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদদের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের ছাড়া প্রথমবার লাল বলের লড়াইয়ে নেমেছে বাংলাদেশ। তারুণ্যনির্ভর দল নিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টের প্রথম দিনটা টাইগাররা শেষ করে কিছুটা স্বস্তি নিয়ে।
টপ অর্ডারের ৫ ব্যাটারকে সাজঘরের পথ দেখিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম দিন শেষে নিউজিল্যান্ড সংগ্রহ করেছে ২৫৮ রান।
বে ওভালে দিনটা শুরু হয় পেইসার শরীফুল ইসলামের উইকেট পাওয়ার মধ্য দিয়ে। আর দিনের শেষ হয় এবাদতের সাফল্যে।
টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে বোলিং পরীক্ষা শুরু হয় বাংলাদেশের।
অধিনায়ক টম লাথামকে ১ রানেই বিদায় করে দলকে আশা জাগানিয়া শুরু এনে দেন শরীফুল। এরপর ম্যাচের লাগাম ধরে ফেলে ব্ল্যাক ক্যাপসরা। পরে একটি রানআউটে ছন্দে ফেরে টাইগাররা। ফিফটি করে থিতু হওয়া উইল ইয়াংকে ৫২ রানে সাজঘরের পথ দেখান উইকেটকিপার লিটন দাস।
তবে এক প্রান্ত থেকে নিউজিল্যান্ডের রানের চাকা সচল রাখেন ডেভন কনওয়ে। ১২২ রানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে মুমিনুলের বলে শিকার হন এ বাঁ হাতি ব্যাটার।
তার বিদায়ে যেন স্বস্তি ফিরে পায় বাংলাদেশ শিবিরে। মাঝে অভিজ্ঞ ব্যাটার রস টেইলরকে প্যাভিলিওনে পাঠান শরীফুল। তার জোড়া আঘাতের পর দিনের শেষ সাফল্য এনে দেন এবাদত হোসেইন।
উইকেটকিপার ব্যাটার টম ব্লানডেলকে ১১ রানে বিদায় করেন এ পেইস বোলার।
শেষ সেশনের দুই উইকেট আর সব মিলিয়ে টপ অর্ডারের পাঁচ ব্যাটারকে বিদায় করে স্বস্তির ঢেকুর তুলতেই পারে মুমিনুল হকের বাহিনী।
প্রথম দিনে বোলিং পরীক্ষায় বলা চলে উতরে গেছে বাংলাদেশ। তবে সব ভরসা যাকে নিয়ে ছিল সেই তাসকিন আহমেদ দিন শেষে ছিলেন উইকেটশূন্য। দ্বিতীয় দিনে নিশ্চয়ই কামব্যাক করতে চাইবেন এ পেইসার।
বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়ে আরও বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের জন্য। অনবিজ্ঞ ও তরুণ লাইন আপ নিয়ে ব্যাটিং চ্যালেঞ্জটা টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে ধরা দিতে পারে টাইগারদের জন্য।
২০১৯ সালে কিউইদের বিপক্ষে তাদের মাটিতে সবশেষ টেস্ট ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। সেবার ক্রাইস্টচার্চে ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে।
সব মিলিয়ে নিউজিল্যান্ড সফর কখনই সুখের হয়নি বাংলাদেশ দলের জন্য। এখন পর্যন্ত সব ফরম্যাট মিলিয়ে সেখানে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ৩২ বার মাঠে নেমেছে টাইগাররা। কোনবারই জয়ের মুখ দেখেনি তারা।