বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফটে দেশি বিদেশি ৬০০ ক্রিকেটার থেকে ১০৫ ক্রিকেটারকে দলে ভিড়িয়েছে ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজি। বিদেশি ‘অখ্যাত’ ক্রিকেটাররা দল পেলেও কেউ আগ্রহ দেখায়নি মোহাম্মদ আশরাফুলকে নিয়ে।
যার ফলে ড্রাফটে থাকলেও দল পাওয়া হয়নি এক সময়ের তারকা এই ক্রিকেটারের। সেই সঙ্গে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের নজর কাড়তে পারেননি নাসির হোসেন, আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের মতো ক্রিকেটাররা।
বিপিএল হলো টি-টোয়েন্টি খেলা। তা ছাড়া বিষয়টাকে আমি স্বাভাবিক ভাবেই দেখছি। এতগুলো ক্রিকেটারদের মধ্য থেকে দল না পেতেই পারি। আবার চান্স আসতেও পারে। দলগুলোর এখনও প্লেয়ার নেয়ার সুযোগ আছে। সেক্ষেত্রে ভালো খেলতে পারলে সুযোগ আসতেও পারে।
বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের বেঁধে দেয়া শর্ত অনুযায়ী দেশীয় ক্রিকেটারদের ভেতর থেকে ১৪ ক্রিকেটারকে দলে ভেড়াতে পারবে একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি। সদ্য শেষ হওয়া প্লেয়ার্স ড্রাফটে এই শর্ত পূরণ করেনি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিই। প্রতিটি দলের খালি রয়েছে কিছু স্লট।
আর এই কারণেই এখনও বিপিএলে খেলার আশা হারাচ্ছেন না আশরাফুল। সেই সঙ্গে দল না পাওয়ার বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন তিনি।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে এমনটাই জানান আশরাফুল।
অ্যাশ বলেন, ‘বিপিএল হলো টি-টোয়েন্টি খেলা। তাছাড়া বিষয়টাকে আমি স্বাভাবিকভাবেই দেখছি। এতগুলো ক্রিকেটারদের মধ্য থেকে দল না পেতেই পারি। আবার চান্স আসতেও পারে। দলগুলোর এখনও প্লেয়ার নেয়ার সুযোগ আছে। সেক্ষেত্রে ভালো খেলতে পারলে সুযোগ আসতেও পারে।’
দল না পাওয়ার কারণ হিসেবে নিজের ব্যাটিং পজিশনকে দুষছেন এই ব্যাটসম্যান। দল পাওয়ার প্রত্যাশা থাকলেও ব্যাটিং পজিশনের প্রতিযোগিতার কারণেই পিছিয়ে পড়েছেন বলেও জানান তিনি।
আশরাফুল বলেন, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটে রান পাচ্ছিলাম নিয়মিত তাই প্রত্যাশা ছিল দল পাব। ড্রাফটে যারা ছিল সবার প্রত্যাশা থাকে দল পাওয়ার, কিন্তু এখানে আমার পজিশনও বড় কারণ হতে পারে। আমি ওপেনিং করি, এখন এই পজিশনে অনেকে রয়েছে। তবে দলে জায়গা পেতে হলে সম্পর্কটাও জরুরি। এক্ষেত্রে আমি পিছিয়ে পড়েছি।’
২০১৩ সালের মে থেকে ফিক্সিংকান্ডে জড়িয়ে জাতীয় দল থেকে নির্বাসনে আশরাফুল। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ক্রিকেটে ফিরেছেন ঠিকই, কিন্তু এখনও ফিরতে পারেননি স্বরূপে। ঘরোয়া ক্রিকেটে চোখে পরার মত পারফরম্যান্স না করলেও নিয়মিত রান করে আসছেন তিনি। একইসঙ্গে স্বপ্ন বুনছেন ফের লাল সবুজের জার্সি গায়ে মাঠ মাতানোর।