ঘরোয়া ফুটবলে অব্যাহত রয়েছে সার্কাস। চলমান ফেডারেশন কাপে সার্কাসের সাক্ষী হয়েছে খোদ ফুটবলাররা। সোমবার মোহামেডান আর স্বাধীনতা কেসির ম্যাচ তখন শেষ। ১-১ সমতার পর ড্রেসিংরুমে ফিরে ফ্রেশ হয়ে দুই দল বাসেও উঠে গেছে। যে যার ক্যাম্পে ফিরবে। তখনই সার্কাসের শুরু।
এ সময় হঠাৎ টনক নড়ে টুর্নামেন্ট কর্তৃপক্ষের। আরে! কীভাবে তাহলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন নির্ধারিত হবে! তখনই বাস থেকে বলা চলে ক্লান্ত দুই দলকে টেনেহিঁচড়ে নামানো হলো মাঠে!
রেফারি থেকে শুরু করে কারও মাথাতেই নেই, ম্যাচ ড্র হলে কীভাবে কোন দল কোয়ার্টার ফাইনালে যাবে! তাই বাস থেকে ফুটবলারদের নামিয়ে টাইব্রেকার খেলতে পাঠানো হলো!
দুই ক্লাবও সেই সার্কাসে শামিল হলো। ১-১ গোলে সমতায় থাকা ম্যাচটা টাইব্রেকারে স্বাধীনতা কেসিকে ৪-৩ ব্যবধানে হারাল মোহামেডান।
গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ফেডারেশন কাপের শেষ আটে পা রাখল মোহামেডান। আর গ্রুপ রানার আপ হয়ে কোয়ার্টার নিশ্চিত করল স্বাধীনতা কেসি।
এর আগে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে স্কোর ১-১ ছিল।
ম্যাচের ৩৯ মিনিটে লিড নেয় মোহামেডান। সাহেদ মিয়ার কর্নার বক্স থেকে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন মালির ফরোয়ার্ড সোলেমান দিয়াবাতে। সমতায় ফিরতে এক মিনিটও সময় নেয়নি স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ। মোহামেডানের দুই ডিফেন্ডারের মাঝখান দিয়ে ফরোয়ার্ড রাসেল আহমেদের থ্রু পাস ধরে বক্সে ঢুকে ডান পায়ের প্লেসিং শটে বল জালে জড়ান বসনিয়ান ফরোয়ার্ড নেদো তুরকোভিজ।
‘এ’ গ্রুপ থেকে এই দুই দল নিশ্চিত করল কোয়ার্টার ফাইনাল। এই গ্রুপের অন্য দলটি হলো বসুন্ধরা কিংস। যারা টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে ওয়াকওভার পায় মোহামেডান ও স্বাধীনতা কেসি। সোমবার ছিল ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণী ম্যাচ।