উদ্বোধনী দিনের নাটক শেষে ফেডারেশন কাপের দ্বিতীয় দিনে প্রথম বারের মতো হলো পুরো ৯০ মিনিটের খেলা। বসুন্ধরা কিংস, উত্তর বারিধারা ও মুক্তিযোদ্ধা এসকেসির মতো দলগুলো টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করায় চমক হারিয়েছে ফেড কাপের ৩৩তম আসর।
গ্রুপ-সির প্রথম ম্যাচে কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের সবশেষ আসরের রানার আপ দল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ পুলিশ এফসি। ১-১ স্কোরে শেষ হওয়া ম্যাচের দুটি গোলই এসেছে পেনাল্টি থেকে।
গোলশূন্য স্কোরে প্রথমার্ধ শেষ হলে দ্বিতীয়ার্ধে দুই পেনাল্টিতে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়।
ম্যাচের শুরু থেকে ছিল আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের ধাঁচ। ম্যাচে লিড নেয়ার বেশ কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করে দুই দলই। ২৭ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে পুলিশের জাল বরাবর শট করেন সাইফের ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। বল গোলপোস্টের উপর দিয়ে চলে গেলে হতাশ হতে হয় সাইফকে।
তার মিনিট পাঁচেক পর ছিল পুলিশের আক্রমণ। ৩২ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে দূরপাল্লার শট নেন আফগান ফরোয়ার্ড আমিরুদ্দিন শারিফি। বলটি গোলপোস্টের উপর দিয়ে চলে যায়।
এর একটু পর আবার আক্রমণ করে সাইফ। খেলার ৩৮ মিনিটে পুলিশের কয়েকজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সের বাইর থেকে পুলিশের জাল বরবার শট নেন সাইফের নাইজেরিয়ান ফরোর্য়াড এমেকা ওগবা। বল সরাসরি চলে যায় পুলিশের গোলকিপার নেহালের হাতে।
গোল মিসের মহড়ায় গোলশূন্য স্কোরে বিরতিতে যায় ম্যাচ।
দ্বিতীয়ার্ধে তুলনামূলক দাপটের সঙ্গে খেলে সাইফ। তারই ধারাবাহিকতায় ৫৪ মিনিটে লিড নেয় সাইফ।বক্সেও মধ্যে ফাহিমকে ফাউল করেন পুলিশের ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার দানিলো অগুস্তো। সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি সাইমন হোসেন।এতে পেনাল্টি থেকে গোল করেন রুয়ান্ডার খেলোয়াড় এমেরি বায়েসেঙ্গে। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় সাইফ।
এক গোলে পিছিয়ে থেকে ম্যাচে ফেরার সুযোগ পায়নি পুলিশ। তবে ইনজুরি টাইমের শুরু হয় আসল রোমাঞ্চ।
ইনজুরি টাইমের দ্বিতীয় মিনিটে আক্রমণে আসে পুলিশ। সাইফের কয়েকজন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে বল নিয়ে এগোতে থাকেন পুলিশের অধিনায়ক দানিলো। বক্সের মধ্যে তাকে ফেলে দিয়ে হলুদ কার্ড দেখেন সাইফের রিয়াদুল ইসলাম।এতে পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি সাইমন হোসেন। পেনাল্টি থেকে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান শরিফি। পয়েন্ট ভাগাভাগি করে শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়ে দুই দল।