ক্রিকেট মাঠে সাফল্য-ব্যর্থতা মিলিয়ে একটা বছর কাটাল বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মতো পরাশক্তিকে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হারানো, জিম্বাবুয়ে ও উইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জেতার উল্টোদিকে ছিল পাকিস্তানের কাছে ক্লিন সুইপ।
তবে বছরের সবচেয়ে বড় হতাশা ছিল বিশ্বকাপের মূল পর্বে টানা পাঁচ ম্যাচে হারা।
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানও মানছেন টাইগার ক্রিকেটের জন্য বিশ্বকাপটা হতাশ করার মতো ছিল। তবে আগের কথা সবাইকে মনে করিয়ে দিতে চান তিনি। আগেও বাংলাদেশ খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
নতুন বছরে আবারও তা করে দেখাবেন টাইগাররা, যুক্তরাষ্ট্রে ছুটিতে পরিবারের কাছে যাওয়ার আগে এমনটা প্রত্যাশা করেন সাকিব।
সংবাদমাধ্যমকে বুধবার সন্ধ্যায় সাকিব বলেন, ‘বিশ্বকাপে বড় একটা টার্গেট ছিল, সেটা আমরা পূর্ণ করতে পারিনি। সেদিক থেকে হতাশাজনক। কিন্তু এ রকম আগেও হয়েছে। যার পর আমরা খুব ভালোভাবে কামব্যাক করতে পেরেছি। তো আশা থাকবে এবারও তেমন হবে।’
আইসিসি ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে এক নম্বর স্থান নিয়ে বছর শেষ করা সাকিবের মতে, ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের পাশাপাশি দলীয় পারফরম্যান্সেও উন্নতির জায়গা আছে।
তিনি যোগ করেন, ‘অনেক জায়গায় (উন্নতি) দরকার আছে। ভালো খেললেও দরকার। খারাপ খেললেও দরকার আছে। চেষ্টা থাকবে সেসব জায়গা যেন চিহ্নিত করা যায়। সবাই মিলে বসে সে জায়গাগুলো যেন আমরা ইমপ্রুভ করতে পারি।’
পারিবারিক কারণে ছুটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন সাকিব। নিউজিল্যান্ডে দলের সঙ্গে নেই টাইগারদের সবচেয়ে বড় এ নাম। নিউজিল্যান্ডে চার বছর আগে ক্যারিয়ারসেরা ২১৭ রানের ইনিংস খেলছিলেন তিনি। সতীর্থদের উদ্দেশে তাই তার নির্ভার হয়ে খেলার বার্তা।
সাকিব বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সম্ভাবনাও ওখানে ভালো থাকে। শেষবার অনেকে ১০০ করেছে। তামিম, রিয়াদ ভাই, সৌম্য সবাই ১০০ করেছে। ওখানে আসলে রান করা যায়। এই বার্তাটা থাকবে সবার আগে।’
ছুটি শেষে সামনের বছর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আসর দিয়ে ক্রিকেটে ফিরবেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয়। এরই মধ্যে সাকিবের সঙ্গে ফ্র্যাঞ্চাইজির কথাবার্তা চূড়ান্ত করে ফেলেছে।
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বরিশালের সঙ্গে কথা হয়ে আছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ইনশাআল্লাহ বরিশালে খেলব।’