করোনার কারণে গত বছর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের আসর না বসলেও আগামী বছরের শুরুতে টুর্নামেন্টটি আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ২০ জানুয়ারি থেকে তিন ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্টটির অষ্টম আসর।
সেই মোতাবেক হাতে সময় আছে এক মাসেরও কম। এখন পর্যন্ত দল চূড়ান্ত হলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি চূড়ান্ত করতে পারেনি বিসিবি। ছয়টি দল চূড়ান্ত হলেও কোন ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকানা পাবে তা নিশ্চিত করতে পারেনি বোর্ড।
বোর্ড সভা শেষে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানান বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক।
তিনি বলেন, ‘বিপিএল নিয়ে এবার অনিশ্চয়তা ছিল। করোনা পরিস্থিতির কারণে নিউজিল্যান্ডে দল খেলতে পারবে কি না, করোনা ফল কী হবে এসব বিবেচনা করতে হয়েছে। আমাদের সব প্রস্তুতি ছিল। এখন পর্যন্ত ছয়টি দল প্রায় চূড়ান্ত।’
অনিশ্চয়তা আছে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের দল নেয়া নিয়েও। বিপিএলের নিয়মিত তিন ফ্র্যাঞ্চাইজি এবারে দল নিতে আগ্রহ প্রকাশ না করায় নতুন করে জায়গা করে নিয়েছে তিনটি গ্রুপ। আটটি ফ্র্যাঞ্চাইজি দল নিতে আগ্রহ দেখালেও ছয় দলের জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজি।
এই ফ্র্যাঞ্চাইজিদের চূড়ান্ত অংশগ্রহণ নিয়েও সংশয় রয়েছে বিপিএলের কমিটির। যার ফলে আগে থেকেই ‘ব্যাকআপ’ রেখে দেয়া হয়েছে।
মল্লিক বলেন, ‘ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে আমরা কিছু শর্ত দিয়েছি। পার্টিসিপেশন মানি ও খেলোয়াড়দের টাকা জমা দেয়া। আজ-কালকের মধ্যে যারা দেবে তাদের আমরা সম্মতি দেব। না হলে আরও দুই-তিনটি আগ্রহী ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে কথা বলা আছে।’
এবারে আইকন খেলোয়াড় না থাকলেও গ্রেডিংভুক্ত খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক বাড়ানো হয়েছে। স্থানীয় খেলোয়াড়দের এ, বি, সি, ডি, ই ও এফ গ্রেডে ভাগ করা হয়েছে।
সর্বোচ্চ ৭০ লাখ টাকা পাবেন এ-গ্রেডের ক্রিকেটাররা। এরপর ৩৫, ২৫, ১৮, ১২ লাখ টাকা করে পাবেন তারা। বিদেশিদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক ধরা হয়েছে ৭০ হাজার ডলার।
বিপিএল প্লেয়ার্স ড্রাফটের সম্ভাব্য তারিখ ২৭ ডিসেম্বর। সেটি সম্ভব না হলে ৩ থেকে ৫ জানুয়ারির মধ্যে হবে।