নিউজিল্যান্ড সফরে কঠোর কোয়ারেন্টিন নিয়মের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে বাংলাদেশ দলকে। দফায় দফায় করোনা পরীক্ষা দিতে হয়েছে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের।
সবশেষ করোনা টেস্টে সবাই নেগেটিভ হওয়ার পর প্রায় ১০ দিনের বন্দিজীবন থেকে মুক্তি পেয়েছেন মুমিনুলরা।
এখন বায়োবাবল বা জৈবসুরক্ষা বলয়ের বাইরে এসে মুক্তভাবে চলাফেরা করতে আর কোনো বাধা থাকছে না ক্রিকেটারদের।
নিউজিল্যান্ডে জাতীয় দলের সঙ্গে থাকা টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন সোমবার সকালে পাঠানো এক ভিডিওবার্তায় এ খবর জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘রোববার আমরা কোভিড টেস্ট করাই এবং আজকে রেজাল্ট পাই। সবাই নেগেটিভ। কালকে থেকে অনুশীলন করতে পারব আমরা।’
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে প্রথমবার অনুশীলনে নামবে বাংলাদেশ। এ নিয়ে সুজন বলেন, ‘সোয়া ১০টা থেকে লিংকন ইউনিভার্সিটি গ্রাউন্ডে অনুশীলন শুরু করব। সেখানে আমরা জিমের ফ্যাসিলিটিজও পাব।’
তিনি জানান, এখন জৈব বলয় থেকে মুক্ত জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। জিম শেষে তারা সবাই থাকবেন আবাসিক হোটেলে। চলাফেরায় আর কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকছে না।
‘অনুশীলন শেষে আমরা হোটেলে উঠে যাব। তারপর থেকে আমরা একদম স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারব। প্রথম টেস্টের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে পারব', বলেন সুজন।
ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষ করে গত ৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে নিউজিল্যান্ডের বিমান ধরে জাতীয় দল। লম্বা সফর শেষে ১০ ডিসেম্বর সকালে ক্রাইস্টচার্চে পৌঁছে শুরু হয় কোয়ারেন্টিন পর্ব।
প্রথমে সাত দিনের কোয়ারেন্টিনের কথা থাকলেও বাংলাদেশ দলের ফ্লাইটে থাকা এক যাত্রীর দেহে ওমিক্রন শনাক্ত হওয়া এবং পরে বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ করোনা আক্রান্ত হওয়ায় বেড়ে যায় কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ।
পয়লা জানুয়ারি থেকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাউন্ট মাঙ্গানুইতে শুরু হবে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট। ৯ জানুয়ারি ক্রাইস্টচার্চে দ্বিতীয় টেস্টে নামবে দুই দল।