অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের করোনা নীতির কারণে ঘরের মাঠে অজিদের বিপক্ষে সিরিজে খেলতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। সে সিরিজে উইকেটের পেছনটা সামলানোর দায়িত্ব বর্তায় নুরুল হাসান সোহানের ওপর। সেই সিরিজে নিজের দায়িত্ব ভালভাবে পালন করেন সোহান।
কোয়ারেন্টিন জটিলতা এড়িয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে দলে ফেরেন মুশফিকুর রহিম। ফলে উইকেটকিপারের দায়িত্ব নিয়ে জটিলতায় পড়তে হয় টিম ম্যানেজমেন্টকে।
সমস্যা সমাধানে ‘অভিনব’ এক পন্থা উদ্ভাবন করেন জাতীয় দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। তার উদ্ভাবিত পন্থায় পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ উইকেট সামলানোর দায়িত্ব বর্তায় সোহানের ওপর। পরের দুই ম্যাচ সেই দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল মুশফিকের। আর দুই ম্যাচের পারফরম্যান্স বিবেচনায় যিনি এগিয়ে থাকবেন তিনি দায়িত্ব পাবেন পঞ্চম ম্যাচে।
মুশফিক বিষয়টিকে সহজ ভাবে নেননি। ক্ষোভ থেকে ঘোষণা দেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে উইকেট কিপিং না করার। সংবাদ মাধ্যমে মুশফিক দাবিও করেন আপোষে নয়, এক প্রকারে বাধ্য হয়ে উইকেট কিপিং ছাড়তে হয়েছে তাকে।
বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতিকে জিজ্ঞেস করা হলে ফুঁসে ওঠে তিনি।
বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) এক অনুষ্ঠানে বোর্ড সভাপতির কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল মুশফিকের গ্লাভস কেড়ে নেয়ার কারণ কি? প্রশ্নটি শুনেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বিসিবি বস।
পাপন বলেন, ‘কিপিং গ্লাভস কেড়ে নেওয়া হয়েছে এটার মানেটা কী? অন্য কোনো খেলোয়াড় কেমন কিপিং করে আমরা কি দেখতে পারব না? যেই করুক, কোচও যদি করে, ও কি এটা যাচাই করতে পারে না যে আমার আর কী অপশন আছে? একটা দুইটা ম্যাচ করলে অসুবিধাটা কী? ভেতরের খবর তো আপনারা বলেন। আপনারা যখন প্রচার করেন তখন এটা উল্টো হয়।’
কিপার হিসেবে তার চোখে মুশফিকের চেয়ে সোহান সেরা, সেটা পরিষ্কার করে দেন বিসিবি বস। আর তার মতে সোহান ভালো করলে মুশফিকের জায়গা নষ্ট হবে বিষয়টা এমন নয়।
তিনি আরও বলেন, ‘সোহান যে কিপিং করল, ও কি খারাপ করছে? অবশ্যই সে সেরা। আমাদের সেরা কিপার এখন সোহান। যদি কাউকে সুযোগই না দেন বা সুযোগ দিলে মাইন্ড করেন তাহলে তো মহাবিপদ। তাহলে তো নতুন কোনো খেলোয়াড়ই আসবে না।’